চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল কলেজ

এম. সারওয়ার

১৩ মে, ২০১৯ | ১:১৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবছর এসএসসিতে জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৭,৩৯৩ জন। বাঁধভাঙ্গা উল্লাসে মাতার পরপরই এই মেধাবীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ মনের মত কলেজে ভর্তি হতে পারবতো?। নামকরা সরকারী কলেজগুলোতে আসন সংখ্যার চাইতে প্রায় ২০গুণ অধিক আবেদন জমা হয়। এই তীব্র প্রতিযোগিতায় জিপিএ ৩-৪ প্রাপ্তরাতো দূরের কথা জিপিএ-৫ পেয়েও ভর্তির সুযোগ মিলছে না প্রতি বছর!। তাই সচেতন অভিভাবকগণ কলেজ ভর্তির আবেদনের ক্ষেত্রে সরকারী কলেজের পরই, পড়ালেখার মান বিচারে সরকারী কলেজের সাথে পাল্লা দিতে সক্ষম প্রাইভেট কলেজগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। এর মধ্যে সাউথ এশিয়ান কলেজ ডিজিটাল শিক্ষায় মাইলফলক রচনা করে বন্দরনগরীর অভিভাবকমহলের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
স্বপ্নপূরণের ক্যাম্পাস : ‘এসএসসি পরীক্ষা পাশের পর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সাউথ এশিয়ান কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। কলেজ যেদিন বিনামূল্যে পাঠ্যবইয়ের ডিজিটাল ভার্সনসহ ল্যাপটপ দিলো সেদিন হতে পড়াশুনা আমার জন্য সহজ-সরল হয়ে গেলো। টিচারদের ভিডিও লেকচারগুলো কলেজের ফ্রি ওয়াই ফাই ব্যবহার করে ডাউনলোড করে বাসায় নিয়ে এসে বারবার দেখার সুযোগ পেতাম। তাই প্রাইভেট পড়ার দরকার হতো না মোটেই’।-এই অভিমত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ১ম বর্ষ পড়ুয়া আফরোজা জান্নাত কোহেলীর। আবার এসএসেিত জিপিএ-৪.৭৮ পাওয়া লুবাবা ফারিহা নাবিলা সরকারী কলেজে ভর্তি হতে না পেরে সাউথ এশিয়ান কলেজে ভর্তি হয় অনেকটা মনোকষ্ট নিয়ে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে নাবিলা এখন রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী! এমন অনেক মেধাবীর স্বপ্নপূরণের ক্যাম্পাস পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল কলেজের স্বীকৃতি লাভকারী চকবাজার এলাকায় চট্টেশ্বরী রোডে অবস্থিত চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড অনুমোদিত
(ঊওওঘ-১৩৫৪২২) সাউথ এশিয়ান কলেজ।
ডিজিটাল ক্যাম্পাস : কলেজের প্রধান নির্বাহী মোঃ আবদুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, আমরা নিজস্ব সার্ভার ও সফটওয়্যার, নিজস্ব ওয়েব পোর্টাল এবং আইটি বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে ডিজিটাল ক্লাসরুম পরিচালনা করে থাকি। এটিই বাংলাদেশের একমাত্র কলেজ যেটি গত ৬ বছর যাবৎ ভর্তিকৃত প্রায় ২৪০০ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে অন্যান্য শিক্ষা উপকরণের সাথে পাঠ্যবইয়ের ডিজিটাল ভার্সনসহ একটি করে ল্যাপটপ/ট্যাব প্রদান করে আসছে। সাউথ এশিয়ান কলেজে প্রতিটি ক্লাসের লেকচার মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ভিডিও আকারে উপস্থাপন করেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক। এতে ক্লাসের পড়া হয়ে উঠে প্রাণবন্ত ও সহজবোধ্য। আবার ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় সহজে অনুধাবন করার জন্য সকল শিক্ষার্থীকে তাদের ট্যাব-এ পাঠ্য সংশ্লিষ্ট অ্যানিমেশন, ভিডিও ক্লিপস, প্রেজেন্টেশন স্লাইড ইত্যাদি দেয়া হয় যাতে ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যতবার খুশি ক্লাস লেকচারটি পুনরায় দেখে আত্মস্থ করতে পারে। প্রয়োজনীয় নোট অথবা নোটিশ, ভিডিও লেকচার শিক্ষার্থী চাইলে দেখতে পারে, ডাউনলোড করে নিতে পারে। এছাড়া স্বল্প মেধাবীদের জন্য রয়েছে একজন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক পদ্ধতি।
ব্যতিক্রমী ‘গবঃযড়ফ- ৬৯’ : সাউথ এশিয়ান কলেজ উদ্ভাবিত সৃজনশীল পদ্ধতি আয়ত্ত্ব করার বিজ্ঞানসম্মত স্বতন্ত্র ‘গবঃযড়ফ – ৬৯’ পদ্ধতিতে দক্ষ, অভিজ্ঞ শিক্ষকম-লী কর্তৃক পাঠদানের ফলে ডিজিটাল ক্লাসরুমে ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ হয়। কোন শিক্ষার্থী মাসিক পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হলে ক্লাসের পর/পূর্বে তার জন্য অতিরিক্ত ক্লাস (যেখানে পড়িয়ে, শিখিয়ে, লিখিয়ে পড়া শেষ করা পর্যন্ত ক্লাস চলবে) এর ব্যবস্থা রয়েছে। তাই কোন শিক্ষার্থীকে বাইরে প্রাইভেট পড়তে হয় না, সত্যিকার অর্থেই। এই পদ্ধতিতে ইধংরপ ঈষধংং-এ মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করে পাওয়ারপয়েন্ট, এনিমেশন, ভিডিও, গেমস ও পাজলসের মাধ্যমে পাঠদান করা হয়। প্রতিটি অধ্যায়ের উপর ৩/৪টি মূল ক্লাসের ভিডিও থাকে । ঠরফবড় ঈষধংং-এ এই ডিজিটাল কনটেন্ট শিক্ষার্থীরা যতবার খুশি পুনরায় দেখে তাদের দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারে। সৃজনশীল পদ্ধতি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের পূর্বশর্তই হলো ঋববফনধপশ/এৎড়ঁঢ় ডড়ৎশ যা ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানমূলক ও অনুমোদনমূলক প্রশ্নোত্তরে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। এছাড়া প্রতিদিন একটি বিষয়ের উপর নির্ধারিত ফরম্যাটে অংংরমহসবহঃ এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর প্রয়োগমূলক ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের সঠিক উত্তরদানের অনুশীলন করানো হয়। সবশেষে চৎবংবহঃধঃরড়হ ঈষধংং । প্রতিমাসে প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের অর্জিত জ্ঞান প্রেজেন্টশন ক্লাসে সকলের সামনে উপস্থাপন করে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীই তখন শিক্ষক। ফলে শিক্ষার্থী সহজেই সৃজনশীল পদ্ধতিতে সাবলীল হয়ে ওঠে।
নিবিড় মনিটরিং : কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল মান্নান চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে দুর্বোধ্য বিষয়সমূহ ছক, সমীকরণ, চিত্র অথবা ভিডিও-র মাধ্যমে হয়ে উঠে সহজ থেকে সহজতর। চড়বিৎ চড়রহঃ চৎবংবহঃধঃরড়হ এর মাধ্যমে লেকচার এর কারণে সময়ের অপচয় অনেক কম হয়। এ ছাড়াও নিয়মিত ক্লাস টেস্ট, মান্থলী টেস্ট, টার্ম ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন গ্রেডিং ও প্রমোশন নির্ধারণ করা হয় এবং ফলাফল অভিভাবকের নিকট গার্ডিয়ান পোর্টালে পাঠানো হয়। সাউথ এশিয়ান কলেজে রয়েছে দ্রুত গতির (টঢ়ঃড় ৫১সনঢ়ং ঝঢ়ববফ সম্বলিত) সুনিয়ন্ত্রিত ওয়াই ফাই সংযোগ। সাউথ এশিয়ানের নুতন সংযোজন ঝঅঈঈ গঙইওখঊ অচচ যার মাধ্যমে ছাত্র/অভিভাবক ইচ্ছা করলেই শিক্ষার্থীর উপস্থিতি, অনুপস্থিতি, রেজাল্টসহ যাবতীয় তথ্য বিশে^র যে কোন প্রান্ত হতে জানতে পারবেন। একাডেমিক পড়াশুনায়ও এটি অত্যন্ত কার্যকর। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে লেখাপড়ার পাশাপাশি আলোকিত মননের মানুষরূপে গড়ে তুলতে সংস্কৃতি ও ক্রীড়ার নিয়মিত চর্চায়ও অগ্রণী এ কলেজের শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় পুরো চট্টগ্রাম বিভাগে কলেজ শাখায় প্রথম স্থান লাভ করার গৌরব অর্জন করেছে সাউথ এশিয়ান কলেজ। মহান একুশ, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস সহ সকল জাতীয় দিবস সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় এ ক্যাম্পাসে। সর্বোপরি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে শিক্ষাকে সহজ, আনন্দময় করতে সাউথ এশিয়ান কলেজ দারুণভাবে সফল হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অ+সহ শতকরা ৯০% পাশের হার তারই প্রমাণ। ফলে সচেতন অভিভাবকগণ অনলাইন আবেদনে প্রথম অপশনেই এই কলেজের নাম রাখবেন। আবেদন ও ভর্তিজনিত যে কোন প্রশ্ন ও সমাধানের জন্য সরাসরি ক্যাম্পাসে এসে কলেজের অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দের সাহায্য নেয়া যাবে। গুলজারের পশ্চিমে, চট্টেশ্বরী রোড, চকবাজার, চট্টগ্রাম, ফোন-০১৯৫২-১০০৯০০, ০১৯৫২-৬০০১০০ এই নম্বরে এবং িি.িংধপপ.বফঁ.নফ এই সাইটে লগ ইন করে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

শেয়ার করুন