চট্টগ্রাম বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ

৫ মে, ২০১৯ | ১:০৬ পূর্বাহ্ণ

(১৯১১-১৯৭৯) : জন্ম মুর্শিদাবাদ, ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯১১। বিচারপতি ও বুদ্ধিজীবী। পিতা সৈয়দ আবদুস সালেক ( জেলা ম্যাজিস্ট্রেট), মাতা আফজালুন্নেসা ( শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ভগ্নী)। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৩১-এ অনার্স, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩২-এ (প্রথম শ্রেণিতে) এম এ (অর্থনীতি) পাস। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৩-এ (প্রথম শ্রেণিতে) এল এল বি এবং বিলেতের লিঙ্কনস ইন থেকে ১৯৩৯-এ ব্যারিস্টারি ডিগ্রি অর্জন। কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসায়ে যোগদান। লিয়াকত নেহেরু চুক্তি (১৯৫০) বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন। ১৯৫১-এ ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগদান।
১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনে ১৯৫৪-তে যুক্তফ্রন্ট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। ১৯৫৫-তে ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ। ১৯৬১-তে এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবীর প্রবল বিরোধিতার মুখে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালনে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ। রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির (১৯৬১) সভাপতি। ১৯৬৪-র ১৫ মে ঢাকা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত। ১৯৬৭- এর ১৫ নভেম্বর উক্ত পদ থেকে পদত্যাগ। ১৯৬৮-তে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্তদের পক্ষ সমর্থনে আইনগত ব্যবস্থা সংগঠিত করার ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা পালন। ১৯৬৯-এর জানুয়ারি-মার্চের আইয়ুব বিরোধী গণ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ। ছাত্রদের ১১ দফা কর্মসুচির প্রতি জোরালো সমর্থন প্রদান, শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের উপর প্রবল চাপ প্রয়োগ। পি-িতে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খাঁ-আহূত গোল টেবিল বৈঠক (১৯৬৯)-এ যোগদান। পূর্ববাংলায় ৬ দফা ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসন ও পার্লামেন্টারি গণতন্ত্রের পক্ষে বক্তব্য পেশ। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাঙালিদের উপর পাকিস্তানি সৈন্যদের গণহত্যার প্রতিবাদে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন। বিশিষ্ট আইনজ্ঞ, দক্ষ ও নির্ভীক বিচারপতি, প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী এবং বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনে উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। ‘মন্ত্রীর মামলায়’, ‘কর্নেল ভট্টাচার্যের মামলায়’ ও ‘পানের মামলায়’ তাঁর রায় এদেশে আইনের ইতিহাসে স্থায়ী সম্পদ। মৃত্যু. ঢাকা ৩ এপ্রিল ১৯৭৯।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট