‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, বীর বাঙালির অহংকার’ এই স্লোগানকে ধারণ করে চট্টগ্রামে আজ (রবিবার) থেকে শুরু হচ্ছে ৩১তম মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা।
নগরীর কাজির দেউড়ি আউটার স্টেডিয়ামে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে মাসব্যাপী এ বিজয় মেলা। বিকাল ৩টায় মেলার উদ্বোধন করবেন সিটি মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দীন। গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মেলার আয়োজকরা। সংবাদ সম্মেলনে মেলার সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুছ। তিনি বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে কাজির দেউড়ি আউটার স্টেডিয়ামে শুরু হবে মাসব্যাপী বিজয় মেলা। ১৯৮৯ সাল থেকে চট্টগ্রামে এ মেলার আয়োজন করে আসছে মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা। তারা ধারাবাহিকতায় এবারও বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। রবিবার বিকাল ৩ টায় মেলার উদ্বোধন করবেন সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন। মেলার অনুষ্ঠানসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে মেলার পাশাপশি সাত দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা ও উদ্দীপনামূলক দলীয় সাংস্কৃতিক সমাবেশসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমদিন ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম চত্বরে বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে সাত
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার কার্যক্রম শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (এমপি)। এছাড়া ১১ ও ১২ ডিসেম্বর অুনষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ। ১৩ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় নারী সমাবেশ, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে স্মরণানুষ্ঠান, প্রয়াত সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ১৫ ডিসেম্বর নাগরিক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্টেডিয়াম চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালী বের হবে। র্যালীটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় স্টেডিয়াম চত্বরে এসে শেষ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান বদিউল আলম, এম.এ মনছুর, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউল আলম চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকি ও সৈয়দ মাহমুদুল হক প্রমুখ।