লাইসেন্স ছাড়াই এক দশক ধরে কার্যক্রম পরিচালনাসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে কাজে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালে গিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি।

গতকাল সোমবার দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল। তদন্ত কমিটির সস্যদের কার্যক্রম চলাকালে হাসপাতালের কর্মচারীদের দুটি পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। একটি পক্ষ হাসপাতালের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পক্ষের, অন্যটি তার প্রতিপক্ষের লোকজন বলে জানা গেছে। এ সময় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনসহ তদন্ত কমিটির সস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তদন্ত কমিটির সদস্যরা হাসপাতালে উপস্থিত হলে তাদের সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীরাও হাসপাতালে প্রবেশ করেন। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে একটি পক্ষ হাসপাতালের গেট বন্ধ করে দেয়। ঘটনার ভিডিও করতে এবং ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়। এছাড়া নিয়োগপত্র ছাড়াই হাসপাতালে কাজ করাকে কেন্দ্র করে বিবদমান একপক্ষ আরেক পক্ষকে হুমকি-ধমকি দেয়। এক পর্যায়ে দুইপক্ষ মারামারিতে জড়ান। এরমধ্যেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের পর থেকে লাইসেন্স ছাড়াই কার্যক্রম চলছে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের। বিষয়টি জানাজানির পর ২০২৪-২০২৫ এসে নতুনভাবে লাইসেন্সের আবেদন করে হাসপাতালটি। তদন্ত কমিটির সদস্যরা এ সংক্রান্ত বিষয়ে কাগজ-পত্র যাচাই বাছাই করেন। কিন্তু অনেক কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এ জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সময় দেয়া হয়। যা পরবর্তীতে কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়।

তদন্ত দলের প্রধান বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা জানান, যেসব অভিযোগ এসেছে সেগুলো আমরা খতিয়ে খেছি। এ ব্যাপারে আরও তদন্ত চলবে। রিপোর্ট না আসার আগ পর্যন্ত অভিযোগের বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে নিজের বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে হাসপাতালের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, যত অভিযোগ এসেছে সবগুলোই একটি মহলের অপপ্রচার। হাসপাতালের এক চাকরিচ্যুত কর্মকর্তার মদদে এসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে। লাইসেন্স ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি। বেশ কিছু জটিলতার কারণে এটি পেতে দেরি হচ্ছে। 

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ