এক বছরের অধিক সময় ধরে হালনাগাদ করা হয়নি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন (সিএমপি) পুলিশের ওয়েবসাইট। ভুলে ভরা কর্মকর্তাদের পরিচিতি। ছয় বছরের অধিক সময় ধরে হালনাগাদ করা হয়নি থানা ভিত্তিক মাসিক অপরাধ বিবরণী। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, উপকমিশনার কিংবা থানার ওসি হিসাবে যাদের ছবি সংবলিত পরিচিতি রয়েছে তাদের অধিকাংশ এখন সিএমপিতে কর্মরত নেই।
গতকাল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইটে এসব অসঙ্গতি দেখা যায়। সিএমপির কর্মকর্তাদের পরিচিতি, কোন থানায় কোন ওসি কর্মরত রয়েছেন কিংবা ওসিদের নাম কি এসব তথ্য জানতে অনেকে নগর পুলিশের এ ওয়েবসাইটের সাহায্য নেন। এতে মানুষ ভুল তথ্য পাচ্ছেন।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বদলি হন নগর পুলিশের বিশেষ শাখায়। এক বছরেরও বেশি সময় আগে পাহাড়তলী থানা থেকে বদলি হয়েছেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। অথচ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইটে তাদের ছবি সংবলিত পরিচিতি এখনো কর্ণফুলী এবং পাহাড়তলী থানার ওসি হিসাবে উল্লেখ করা আছে।
একইভাবে জাহেদুল কবিরকে কোতোয়ালী, আবদুর রহিমকে বাকলিয়া, মনজুর কাদের মজুমদারকে চকবাজার, গোলাম রাব্বানীকে সদরঘাট, খাইরুল ইসলামকে চান্দগাঁও, নাজিম উদ্দিন মজুমদারকে পাঁচলাইশ, সন্তোষ কুমার চাকমাকে খুলশী, ফেরদৌস জাহানকে বায়েজিদ বোস্তামী।
শাখাওয়াত হোসেনকে ডবলমুরিং, মোহাম্মদ জহির উদ্দিনকে হালিশহর, মোস্তাফিজুর রহমানকে পাহাড়তলী, ওয়ালি উদ্দিন আকবরকে আকবরশাহ, আবদুল করিমকে ইপিজেড, সঞ্জয় কুমার সিনহাকে বন্দর, আফতাব হোসেনকে পতেঙ্গা এবং দুলাল মাহমুদকে কর্ণফুলী থানার ওসি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে সিএমপি ওয়েবসাইটে। সবার ছবিও দেয়া আছে। অথচ তাদের মধ্যে কেউ উল্লেখিত থানায় কর্মরত নেই।
দুই একজন ছাড়া বাকীদের কেউ সিএমপিতেও কর্মরত নেই। ওসি ছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহমেদ, আবদুল ওয়ারিশ (ডিবি) ও ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মান্না মিয়া (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) ছবি সংবলিত পরিচিত রয়েছে ওয়েবসাইটে। তাদের তিনজনের একজনও সিএমপিতে কর্মরত নেই।
একই অবস্থা উপকমিশনারদের পরিচিতির বেলায়ও। উপ কমিশনারদের পরিচিতি দেখতে গেলে চলে আসে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। আবার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের পরিচিতি দেখতে গেলে উপ কমিশনারদের তথ্য ভেসে ওঠে। ওয়েবসাইটে থানাভিত্তিক মাসিক অপরাধ বিবরণী একটি ছক আপলোড করা শুরু হয় ২০১৩ সাল থেকে। যেখানে নগরীর ষোল থানার অপরাধের ধরন সম্পর্কে মোটা দাগে একটি ধারণা পাওয়া যায়।
২০১৮ সালের জুলাই মাসের পর বিগত ছয় বছরে মাসিক অপরাধ বিবরণী কোন ছক আপলোড করা হয়নি। নগর পুলিশের উপ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) রইছ উদ্দিন জানান, হয়তো ভুলে আপডেট করা হয়নি। যারা ওয়েবসাইটটি দেখভাল করেন আমি তাদেরকে বলে দেব যেন আপডেট করা হয়।
পূর্বকোণ/ইব