এক কারখানায় তৈরি করা হচ্ছে নামি-দামি ব্র্যান্ডের ১৫-২০ ধরনের ঘি। পামওয়েলের সঙ্গে খাবারের রং ও অন্যান্য সামগ্রী মিশিয়ে তৈরি হয় ভেজাল ও নিম্নমানের ঘি। আর এসব ঘি ব্যবহৃত হয় নগরীর নামকরা হোটেল- রেস্তোরাঁয়। রান্নার অন্যতম অনুষঙ্গ ঘি তৈরির এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে জেলা প্রশাসনের অভিযানে।
অনুমোদনহীন ও ভেজাল ঘি তৈরির অপরাধে আই কিউ ফুড প্রোডাক্ট নাম প্রতিষ্ঠানকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরীর চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকায় ভেজাল ঘি তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউছুফ হাসান। সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে অভিযান পরিচালিত হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউছুফ হাসান বলেন, কারখানার ভেতরের অবস্থা খুবই অপরিচ্ছন্ন, নোংরা ও স্যাঁতসেঁতে। আসল ঘিয়ের সঙ্গে ৪ কেজি পামওয়েল ও খাবারের রং এবং অন্যান্য সামগ্রী মিশিয়ে ঘি তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই দেশের নামি-দামি ১৫-২০ ব্র্যান্ডের ঘি তৈরি করা হয় এই কারখানায়।
এসব নিম্নমানের ঘি বিক্রি করা হয় নগরীর নামি-দামি হোটেল-রেস্তোরাঁয়। অনুমোদনহীন ও ভেজাল ঘি তৈরির অপরাধে আই কিউ ফুড প্রোডাক্টস নামক প্রতিষ্ঠানকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউছুফ হাসান জানান, প্রায় ৩শ কেজি ভেজাল ঘি নষ্ট করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অন্তত ৫শ ঘিয়ের কৌটা ধ্বংস করা শুরু হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) অবশিষ্ট কৌটা ধ্বংস করা হবে।
আদালত সূত্র জানায়, কারখানায় ঘি বিক্রির রশিদ বই জব্দ করা হয়। এসব রশিদ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নগরের জিইসি মোড়, চকবাজার ও মুরাদপুরের নামি-দামি হোটেল ও রেস্তোরাঁর নামে ২০-৩০ কার্টুন ঘি বিক্রির তথ্য রয়েছে। নগরের নামি হোটেল-রেস্তোরাঁয় অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে নিম্নমানের ভেজাল এসব ঘি।
পূর্বকোণ/ইব