চট্টগ্রাম বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দু’মাসের ব্যবধানে রাজস্ব বেড়ে দ্বিগুণ

ইমাম হোসাইন রাজু

৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে মাত্র ৯ কোটি ৭ লাখ ৮৮৭ টাকা রাজস্ব আয় করে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ঠিক দু’মাস পর রাজস্ব আয়ের এ সংখ্যা বেড়ে হয় দ্বিগুণ। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর রাজস্ব আয়ের ছোঁয়া লেগেছে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক এ বিমানবন্দরে। অর্থাৎ গেল অক্টোবর মাসে রাজস্ব আয় হয় ১৮ কোটি ৫ লাখ ৭৫১ টাকা।

 

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি দৃশ্যমান পরিবর্তনের হওয়া লেগেছে বিমানবন্দরের রাজস্ব আয়ে। বিমানবন্দরের অবকাঠামোগত সংস্কার ও ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়ায় রাজস্ব আয়ের এ বৃদ্ধি দিনদিন আরও বাড়বে এমন আশা কর্তৃপক্ষের।

 

বিমানবন্দরের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২০২৫ চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাজস্ব আয় হয় ৯ কোটি ৭ লাখ ৮৮৭ টাকা। তবে আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর রাজস্ব আয়ের চিত্র অনেকটাই উন্নীত হতে থাকে। অর্থাৎ আগস্ট মাসে এসে জুলাইয়ের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেড়ে রাজস্ব আয় দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৩ লাখ ২ হাজার ৩২ টাকায়। সেপ্টেম্বর মাসে তা আরও বাড়তে থাকে। এ মাসে দেশের এ দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয় হয় ১৬ কোটি ১ লাখ ১১ হাজার টাকা।

 

আর সর্বশেষ গত অক্টোবর মাসে রাজস্ব আয় হয় ১৮ কোটি ৫ লাখ ৭৫১ টাকা। অর্থাৎ জুলাইয়ের তুলনায় দ্বিগুণ রাজস্ব আয় হয় গত অক্টোবর মাসেই। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, যাত্রীসেবার পাশাপাশি রাজস্ব আয়ে যে পরিবর্তন- এটি সবসময় অব্যাহত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে যেসব উন্নয়ন প্রয়োজন, তার কাজও চলমান। আশা রাখছি, সামনের দিনগুলোতে রাজস্ব আরও বৃদ্ধি হবে। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।

 

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর। দেশের প্রায় ২১ শতাংশ যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে। বর্তমানে সাতটি আন্তর্জাতিক রুটে দুটি দেশীয় বিমান সংস্থা এবং দুটি আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা ফ্লাইট পরিচালনা করছে। প্রতিদিন গড়ে আন্তর্জাতিক রুটে ১৬ ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ রুটে প্রতিদিন গড়ে ফ্লাইট পরিচালনা হচ্ছে ৩৫টি। যার সবগুলোই রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাসহ দেশের চারটি বিমান পরিচালনা করে থাকে।

 

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার ফ্লাইট বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সৌদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বিমানবন্দর পরিদর্শন করে গেছেন। তারাও ফ্লাইট শুরু করতে চায়। এছাড়াও আগে থেকে যারা ফ্লাইট পরিচালনা করছে, দিনদিন তাদের ফ্লাইটের সংখ্যা বেড়েছে। বিমানবন্দরের অবকাঠামো সুবিধাসহ নানান উন্নয়নের ফলে যাত্রীরাও সুফল পাচ্ছে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট