চট্টগ্রাম সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি

স্বাস্থ্যসেবার আলোকবর্তিকা ছিলেন ডা. রিদওয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ অক্টোবর, ২০২৪ | ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ

‘খ্যাতিমান চিকিৎসক, শিক্ষক ও গবেষক অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান উর রহমান ছিলেন সততা, প্রজ্ঞা এবং স্বাস্থ্যসেবার আলোকবর্তিকা। দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে নীতিনির্ধারণ এবং গবেষণা কাজে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ।’ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ক্লাব মিলনায়তনে অধ্যাপক রিদওয়ান উর রহমানের স্মরণে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ। মুখ্য আলোচক ছিলেন এশিয়া প্যাসিফিক লিগ অব এসোসিয়েশান ফর রিউমাটোলজির সাবেক সভাপতি চিকিৎসক ও শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক।

অধ্যাপক রিদওয়ান’র গভীর জ্ঞান, অটল নৈতিকতা এবং কথোপথনের অগণিত মুহূর্তগুলো স্মরণ করে অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, কর্মক্ষেত্রে অধ্যাপক রিদওয়ান ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ। তার সরল অথচ প্রজ্ঞাময় কথামালা আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে এবং আজ যখন চিকিৎসকরা গুড ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস নিয়ে কথা বলি, আমরা শুধুমাত্র নৈতিক উৎকর্ষের উদাহরণটি পূরণ করার চেষ্টা করতে পারি। যা তিনি মূর্ত করেছেন।

অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ বলেন, ডা. রিদওয়ানের অনুপস্থিতি দেশের চিকিৎসাশিক্ষা ও গবেষণায় বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ বলেন, একজন কৃতী চিকিৎসক, একজন সফল গবেষক এবং একজন অনুকরণীয় শিক্ষক- এই তিনের সমন্বয় ঘটেছিল অধ্যাপক রিদওয়ান উর রহমানের মধ্যে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক তারেক শামস’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মুলকুতুর রহমান, ডা. একরামুল হক, অধ্যাপক সিরাজুল হক, অধ্যাপক আমির হোসেন, অধ্যাপক হাসানুজ্জামান, অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ জয়, ডা. মেহেরুন্নিসা খানম, ডা. গোলাম মোস্তফা শামীম, ডা. রাইক রিদওয়ান প্রমুখ। সভায় চিকিৎসক ছাড়াও সুধীজন এবং সাংবাদিকসহ মরহুম অধ্যাপক রিদওয়ান রহমানের গুণগ্রাহী, সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, অধ্যাপক রিদওয়ান উর রহমানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকালে মরহুমের নিজ গ্রাম সাতকানিয়ার কাঞ্চনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল এবং দুস্থ ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়া সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৩৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ৫০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকের একটি দল ১ হাজার ২৩০ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। পাশাপাশি রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়। বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রাশেদা সামাদের তত্ত্বাবধানে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট