চট্টগ্রাম বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

থানা পাহারায় শিক্ষার্থীদের সহায়তা চাইলেন : জেলা প্রশাসক

অনলাইন ডেস্ক

৮ আগস্ট, ২০২৪ | ৯:১৩ অপরাহ্ণ

বর্তমানে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। এমন পরিস্থিতে চট্টগ্রামের নগর ও জেলার ৩২টি থানার পাহাড়ায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা চেয়েছেন জেলা প্রশাসক। এছাড়াও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে তাদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

সভার শুরুতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ও চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ জেলা প্রশাসকের কাছে দেশে চলমান নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কিছু দাবি তুলে ধরেন। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার সাথে একমত পোষণ করে এবং শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আপনাদের যে দাবিগুলো রয়েছে বা যে সহযোগিতা আপনারা চেয়েছেন তার প্রায় সকল দাবির সাথে আমরা একমত। আমাদের চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলার ১৬ থানা রয়েছে। আর মেট্রোপলিটন এলাকায় রয়েছে ১৬টি থানা। তারমধ্যে নগরের বেশ কয়েকটি থানায় অগ্নিসংযোগ-অস্ত্রলুট করা হয়েছে। আমরা এরইমধ্যে একটি মিটিং করে থানাগুলোতে কি পরিমাণ অস্ত্র ছিল বা গোলাবারুদ ছিল তা নিরুপণ করার চেষ্টা করছি। এর বাইরে লোহাগড়া থানায়ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।’

শিক্ষার্থী এবং জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনারা অনেকে জীবনের মায়া ত্যাগ করে সেই অস্ত্র উদ্ধার করে ট্রেজারিতে জমা দিয়ে গেছেন। চট্টগ্রামে কোথাও অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া গেলে আপনাদের একটি নম্বর দিব সেই নম্বরে যোগাযোগ করবেন।’

জনবলের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমাদের এখন সব কিছু করার মতো জনবলের অভাব রয়েছে। থানায় ফোর্স নেই। এখন একটি ক্রাইম হলে সেখানে কমপ্লেইন করার সুযোগ নেই। আমাদের পুলিশ বাহিনীর মনোবল বাড়ানোর জন্য কাজ করছি।’থানা পাহারার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ রেখে তিনি বলেন, ‘জেলা ও মহানগরের ৩২টি থানাগুলোতে স্ব স্ব এলাকার শিক্ষার্থী, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসসহ কো অর্ডিনেশন করে তিন শিফটে ১০ জন করে পাহাড়ায় থাকলে পুলিশ নিরাপদ অনুভব করবে। এটা আমাদের একটি অনুরোধ। আপনারা বিবেচনা করবেন।’মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাদি উর রহিম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যান্য আরো নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।

পূর্বকোণ/আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট