চট্টগ্রাম শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

দু’দিনে একটি কনটেইনারও ডেলিভারি হয়নি

বন্দর চালুর সুফল মেলেনি এবারের ঈদের ছুটিতেও

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ জুন, ২০২৪ | ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দর চালু রাখার সুফল মেলেনি এবারেও। এমনকি ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন (১৮ ও ১৯ জুন) একটি কনটেইনারও ডেলিভারি হয়নি চটগ্রাম বন্দরে।

 

 

যদিও বরাবরের মতো এবারও ঈদুল আজহার দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকা ছাড়া বাকি সময় চালু ছিল বন্দরের কার্যক্রম। এত সভা করে বিশেষ ব্যবস্থায় সবরকম জনবল নিয়োজিত রেখে বন্দর চালু রাখার পরও কনটেইনার ডেলিভারি না হওয়া দুঃখজনক বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঈদের দিন (১৭ জুন) ৮ ঘণ্টা কার্যক্রম বন্ধ থাকার পরও ওইদিন ৩৮৯ একক কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে। তবে এরপরের দু’দিন ১৮ ও ১৯ জুন ডেলিভারি হয়নি কোনও কনটেইনার। ঈদের বন্ধের আগে ১৪ ও ১৫ জুন ছিল সপ্তাহিক ছুটির দিন। ওই সময়েও ১৪ জুন ৫ হাজার ৩৬০ একক এবং ১৫ জুন ৩ হাজার ৯৯ একক কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছিল। এছাড়া ঈদের আগেরদিন অর্থাৎ, ১৬ জুন ডেলিভারি হয়েছিল ২ হাজার ২৩৯ একক কনটেইনার।

 

 

এর আগে গত ঈদুল ফিতর এবং পহেলা বৈশাখের ছুটিতেও শতভাগ চালু ছিল চট্টগ্রাম বন্দর। ওই সময়েও আশানুরূপভাবে কনটেইনার ডেলিভারি হয়নি। বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ঈদুল ফিতরের দিন ডেলিভারি হয়নি একটিও কনটেইনার। এছাড়া অন্যান্য ছুটির দিনে ডেলিভারি নেমে এসেছিল ১ হাজার এককের নিচে।

 

 

জানা যায়, ঈদুল আজহার ছুটিতে বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি নিতে স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কনটেইনার ডেলিভারি নিতে বিজিএমইএ’র প্রতি বিশেষ নির্দেশনা ছিল বন্দর কর্তৃপক্ষের। সুফল পেতে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে দুটি মনিটরিং সেলও গঠন করা হয়েছিল। তবে এতসব উদ্যোগ, সমন্বয়, আয়োজনের পরও বন্দর খোলা রাখার সুফল মেলেনি।

 

 

এর ফলে ঈদের ছুটির তিনদিন আগ থেকে ছুটিকালীন, অর্থাৎ ছয়দিনে বন্দর ইয়ার্ডে জমেছে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৮৮ একক কনটেইনার। বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ একক।

 

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিবছরের মতো এবারও চালু ছিল বন্দর। সুফল পেতে এবার বিশেষ নির্দেশনা ছিল বন্দরের স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি। আমদানিকারকরা পণ্য ডেলিভারি না নেওয়ায় এর সুফল পাওয়া যায়নি। তবে একদিন প্রায় বন্ধ থাকলেও ছুটির পরবর্তী দু’দিন জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানামা কিছুটা স্বাভাবিক ছিল।

 

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি দিতে আমাদের সবধরনের প্রস্তুতি ছিল। স্টেকহোল্ডারদের প্রতি এবার বিশেষ নির্দেশনাও ছিল। কিন্তু আমদানিকারকরা ডেলিভারি নেননি।

 

 

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, স্বাভাবিক সময়ে বন্দরে ৪ থেকে ৫ হাজার একক কনটেইনার ডেলিভারি হয়। গড়ে কনটেইনার ডেলিভারির সংখ্যা ৪ হাজার ৫শ একক। এছাড়া স্বাভাবিক সময়ে বন্দরে ৭ থেকে ৮ হাজার একক কনটেইনার হ্যান্ডলিং বা জাহাজে ওঠানামা হয়। ঈদের দিন কোন রপ্তানি কনটেইনার জাহাজে উঠেনি। ঈদের দিন জাহাজ থেকে শুধুমাত্র আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার নামানো হয় ৩৪৭ একক। ঈদের পরদিন জাহাজে আমদানি এবং রপ্তানি কনটেইনার ওঠানামা হয় ৮ হাজার ২৭৪ একক।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট