চট্টগ্রাম সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

শহীদুলের খাড়িতে পাহাড়ি আম

ওয়ার্ড ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ মে, ২০১৯ | ১:৩২ পূর্বাহ্ণ

‘বাজারে ফরমালিন যুক্ত ফলমূলের ছড়াছড়ি, ভালো কোন ফল তো পাওয়াই যায় না, তারমধ্যে দেশীয় ফল নেই বললেই চলে। খাড়ি করে বিক্রি করা এ আমগুলো একদম টাটকা। দেশীয় পাহাড়ি আম। দামও বাজারের তুলনায় অনেক কম। তাই এখান থেকে আমগুলো ক্রয় করেছি’। নগরীর একেখান মোড়ে ছোট ছোট খাড়ি করে বিক্রি করা পাহাড়ি আম কিনতে এসে এভাবেই কথাগুলো বললেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা।
বৈশাখের প্রচ- দাবদাহ উপেক্ষা করে ছোট ছোট খাড়িতে করে সুস্বাদু আম নিয়ে বসেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম। শুধু আম নয়। লিচু, জাম, কাঁঠালসহ গত দশ বছর থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এভাবেই খাড়ি করে দেশিয় ফলমূল বিক্রি করে থাকেন তিনি। এবারে সীতাকু-ের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে আম সংগ্রহ করে নগরীর একেখান মোড়ে বিক্রির করছেন শহীদুল। আমের দাম কম হওয়ায় এবং চাহিদা বেশি থাকায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে শহীদুলের ভ্রাম্যমাণ এ আমের হাট। সুমিষ্ট ও রসালো আর পাকা আমের জন্য ভিড়ও করছেন ক্রেতারা।
আম কিনতে আসা তাওহীদুল ইসলাম নামে এক যুবক পূর্বকোণকে বলেন,‘চলতি পথে হঠাৎ চোখ পড়ে আমের খাড়িতে। পাকা, রসালো ও দেশীয় আম দেখে কিনতে এসেছি। ভেবেছিলাম অনেক দাম হবে, কিন্তু দামও হাতের নাগালে।’
বিক্রেতা শহীদুল ইসলাম পূর্বকোণকে বলেন,‘যখন যে ফলের সময় আসে, তখন ওই ফলগুলো বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করি। তারপর সবগুলো একত্রে করে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিক্রি করে থাকি। আমগুলো সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা, এসব আমে কোন ফরমালিন নেই। শতভাগ বিশুদ্ধ আম। একদিন আগে আম সংগ্রহ করা হয় এবং পরদিন শহরে নিয়ে আসি।’
শুধু পাকা আম নয়, চাহিদা থাকায় কাঁচা আমও সংগ্রহ করা হয় বলে জানান শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যখন যে দামে আম কিনে আনি, তখন সে অনুযায়ী দাম দেয়া হয়।
এখন পাকা আমগুলো ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে আর কাঁচা আমগুলো ৩০ থেকে ৪০ টাকা দামে বিক্রি করছি। প্রতিদিন অন্তত দেড়’শ থেকে দুই’শ কেজি আম বিক্রি করা হয়ে থাকে বলেও জানান তিনি।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট