চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

কারাগারে বন্দীর মৃত্যু: ওসি, জেল সুপারের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩ মার্চ, ২০২৪ | ৬:২৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রুবেল নামে এক বন্দীর ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর অভিযোগে কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মঞ্জুর হোসেন এবং বোয়ালখালী থানার ওসি আছহাব উদ্দিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার দরখাস্তের ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

রবিবার (৩ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছা পিবিআইকে এই নির্দেশ দেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে এড. মিন্টু বিশ্বাস বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার দরখাস্ত পেশ করেছি। কয়েকদিন আগে বাদীনির উপস্থিতিতে মামলার আবেদনটির উপর শুনানি হয়েছিল। ঐ দিন শুনানি হলেও তখন কোন আদেশ দেওয়া হয়নি। তবে আজ আদেশ দিয়েছে, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। আশা করি বাদীপক্ষ সুষ্ঠু বিচার পাবেন।

 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি এড. আব্দুর রশীদ বলেন, পুলিশ ও কারাগারে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মামলার দরখাস্তটির ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

 

এর আগে, ২০ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বন্দীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের একাধিক কর্মকর্তা ও বোয়ালখালী থানার কয়েকজন কর্মকর্তাসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের বিচারক ড. বেগম জেবুন্নেছার কাছে মামলার দরখাস্ত পেশ করেন নিহত রুবেলের স্ত্রী।

 

মামলার আবেদনে বোয়ালখালী থানার ওসি মো. আছহাব উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম, এসআই এসএম আবু মুছা, এএসআই মাঈনুদ্দিন, এএসআই সাইফুল ইসলাম, কনস্টেবল কামাল ও আসাদুল্লাহ, এসআই রিযাউল জব্বার, থানার ডিউটি অফিসার, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মঞ্জুর হোসেন, জেলার এমরান হোসেন মিয়া, ডেপুটি জেলার নওশাদ মিয়া, আখেরুল ইসলাম, সুমাইয়া খাতুন ও ইব্রাহীম এবং ওয়ার্ড মাস্টারকে সেখানে আসামি করা হয়।

 

মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে রুবেল দে’কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মদ উদ্ধারের ‘ভুয়া মামলা সাজিয়ে’ পুলিশ দুই লাখ টাকা ‘ঘুষ’ দাবি করে। পরদিন রুবেলকে আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। সে সময় তাকে ‘অসুস্থ অবস্থায়’ প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ২ ফেব্রুয়ারি রুবেলের সাথে পরিবারের সদস্যরা কারাগারে দেখা করতে গেলে তাকে ‘মুমূর্ষু’ অবস্থায় হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং তার ডান চোখের ভ্রুর ওপর কাটা জখম দেখা গিয়েছিল বলে বাদীর ভাষ্য। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি কারাগারে রুবেলের মৃত্যুর খবর জানানো হয় তার স্ত্রীকে।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট