একমাসের ব্যবধানে তিন দফা ওমরা যাত্রীদের বিমান ভাড়া বৃদ্ধি করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিদেশি অন্য এয়ারলাইন্সগুলোর চেয়ে রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থার টিকিট মূল্য বাড়ানোর কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওমরা যাত্রীরা।
একইসঙ্গে বর্ধিত ভাড়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওমরা সেবা প্রদানকারী এজেন্সিগুলো। তাই অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলোর ভাড়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিমানের অস্বাভাবিক ভাড়া কমিয়ে পূর্বের ন্যায় ভাড়া নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)। এদিকে, ওমরা টিকিটের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে চিঠি দিয়েছে আটাব চট্টগ্রাম জোন। চিঠিতেও তিন দফায় বৃদ্ধি হওয়া বিমানের টিকিট মূল্য কমানোর কথা উল্লেখ করা হয়।
গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের চট্টগ্রাম জেলা ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়। আটাব চট্টগ্রাম জোনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাফর ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিশে^র দ্বিতীয় মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অধিক সংখ্যক লোক ওমরা পালন করে থাকেন। ওমরা যাত্রীগণ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে পছন্দে রাখেন। দুঃখের বিষয়, হঠাৎ করে একমাসের ব্যবধানে ওমরা যাত্রীদের ভাড়া তিন দফা বাড়ানো হয়েছে। স্বল্পসময়ের মধ্যে অস্বাভাবিক এই বিমান ভাড়া বৃদ্ধিতে ওমরা যাত্রীগণ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ওমরা সেবা প্রদানকারী এজেন্সিগুলো বর্ধিত ভাড়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অতিরিক্ত ওমরা ভাড়ার কারণে অন্যান্য এয়ারলাইন্সের ভাড়া কম হওয়ায় ওমরা যাত্রীগণ ঐ সকল এয়ারলাইন্সকে বেছে নেবেন। এতে বাংলাদেশ বিমান এয়রালাইন্স বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাবে। এমতাবস্থায় অন্যান্য এয়ারলাইন্সের ভাড়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিমানের অস্বাভাবিক ভাড়া কমিয়ে পূর্বের ন্যায় ভাড়া নির্ধারণ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
খবর নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা কিংবা মদিনা রুটে বিমান বাংলাদেশের স্বাভাবিক ভাড়া পাঁচশ থেকে সাড়ে পাঁচশ ডলার। কিন্তু সেটি গত ডিসেম্বরে ছয়শ থেকে সাড়ে ছয়শ ডলারে পৌঁছায়। একমাসের ব্যবধানে চলতি মাসের শুরুতে এসে তা দাঁড়ায় ৭১০ ডলারে। এরমধ্যেই ২৫ জানুয়ারি থেকে আবারও ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিমান কর্তৃপক্ষ। নতুন ভাড়া অনুযায়ী তা এখন ৯শ থেকে ১ হাজার ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। মার্চে গিয়ে এ ভাড়া আরও বাড়বে, পূর্ব অভিজ্ঞতায় এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে একজন ওমরা যাত্রী আসা-যাওয়ার বিমান বাড়া ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা দিতে হলেও এখন তা এক লাখ ৩০ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। এমতাবস্থায় বিষয়টি নজরে দেওয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
পূর্বকোণ/জেইউ