চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম কাণ্ড!

মাংসসহ মেয়াদোত্তীর্ণ সাড়ে ৪৫ লাখ টাকার চার পণ্য নিলামে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ নভেম্বর, ২০২৩ | ৪:১৪ অপরাহ্ণ

সাড়ে ৪৫ লাখ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ৪ হাজার ৮৯০ কেজি গরুর মাংস, ৭৩৪ কেজি নুডলস, ৬০ কেজি সব্জি ও ৯৯ কেজি স্যুপ বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হবে আজ। এই চার পণ্যেরই ইতিমধ্যে মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। তাও বিক্রি জন্য প্রকাশ্য নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা। এই মেয়াদোত্তীর্ণ চার পণ্যের সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৫ টাকা।

 

আজ বৃহস্পতিবার মোট পাঁচটি প্রকাশ্য নিলাম অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম কাস্টমসে। যার একটি নিলামে এই মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখা হয়েছে। একই নিলামে বিভিন্ন ওজন ও পরিমাণে মোট ২৭ ধরণের পণ্য রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৭৫৬ কেজি ফ্রোজেন হাঁস। এর মেয়াদ শেষ হবে আগামীকাল শুক্রবার। এছাড়ও মাত্র চারদিন পরেই মেয়াদ শেষ হবে নিলামে রাখা সাড়ে ৬৩ কেজি ফ্রোজেন কেক। পাঁচদিন পরে মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে ১ হাজার ৩৯৫ কেজি ফ্রোজেন মম (ডাম্পলিং এন্ড মান্ডু)। ১২ দিন পরে মেয়াদ ফুরাবে ১১৪ কেজি চিকেন ফ্রোজেন ফুডের।

 

এই নিলামে ২৭ পণ্যের মধ্যে প্রায় ২৯ কেজি ঝিনুক জাতীয় পণ্য, ৪৮০ কেজি মরিচের গুঁড়া ও ১ হাজার ৩৯৫ কেজি কুকিং সস ছাড়া বাকি পণ্যগুলোর মেয়াদ আগামী ১ থেকে ৪ মাসের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে। এই ২৭ ধরণের পণ্য রয়েছে ২ হাজার ৪৭ কার্টনে। মোট ১৮ হাজার ৩১৩ কেজি ওজনের এসব পণ্যের সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ২৮৭ টাকা।

 

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, নগরীর জাকির হোসেন রোডের ফয়’স লেক এলাকার প্রতিষ্ঠান ইমরান এন্টারপ্রাইজ এই পণ্যগুলো আমদানি করে। চালানটি খালাস না হওয়ায় বন্দর থেকে নিলামের জন্য গত ২৮ মে আরএল ভুক্ত করে। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পাঁচ মাস পর গত ৩১ অক্টোবর এই চালানের কায়িক পরীক্ষা করে। যার মধ্যে বিভিন্ন পণ্যের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর আজ সেগুলো বিক্রির জন্য প্রকাশ্য নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

 

প্রসঙ্গত, মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার ঠিক নয়দিন আগে ভারত থেকে আসা ২৮ হাজার ৪০ কেজি হিমায়িত মহিষের মাংস আজ দুপুর সোয়া ১২টায় প্রকাশ্য নিলামে তোলা হবে। এই মাংস আগামী ২ ডিসেম্বর মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই মাংসের সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করেছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ২৩৫ টাকা। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার ঠিক নয়দিন আগে ২৮ টনের বেশি এই মাংস যদি নিলামে বিক্রি হয়, তারপরও এটি খাওয়ার উপযুক্ত থাকবে কিনা তাতে সন্দেহ প্রকাশ করছে নিলাম সংশ্লিষ্টরা।

 

যার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে- নিলামে সর্বোচ্চ দর প্রস্তাবকারীর মূল্যে এই মাংস বিক্রি করা হবে কিনা তা সিদ্ধান্ত হবে নিলাম কমিটির সভায়। সেই প্রস্তাবে যদি সম্মতি মিলে, তারপরও কাস্টমসের অর্থ পরিশোধ করে বন্দর থেকে সেই মাংস খালাস নিতেই মাংসের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার সম্ভবনাই রয়েছে বেশি।

 

পূর্বকোণ/আরডি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট