চট্টগ্রাম শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

দু’দশক পর জনবল নিয়োগ তবুও ফাঁকা অর্ধশত পদ

ইমাম হোসাইন রাজু

২১ আগস্ট, ২০২৩ | ১২:৫০ অপরাহ্ণ

দীর্ঘ দুই দশক পর অবশেষে জনবল নিয়োগ হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক)। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের বিরাজমান জনবল সংকট কিছুটা নিরসন হতে যাচ্ছে কলেজের। কলেজে ২২টি পদে জনবলের প্রয়োজন কমপক্ষে ৯৪ জন। কিন্তু সম্প্রতি কলেজ কর্তৃপক্ষ মাত্র ছয়টি পদে নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছেন। এর বিপরীতে ৪৯ জনের শূন্যপদ পূরণ হবে। এরপর আরও ৪৫টি পদ খালি থাকবে। অবশ্য, কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে শূন্য সকল পদই পূরণ করা হবে। সর্বশেষ ২০০৪ সালে নিয়োগ হয় ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণির পদের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত কোন কর্মচারী নিয়োগ হয়নি। এরমধ্যে বিগত দুই দশকে বহু কর্মচারী সরকারি চাকরি থেকে অবসরে গেলেও সেই ঘাটতি জনবল দিয়েই এতদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের জোড়াতালি দিয়ে কার্যক্রম চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বছরের শুরুতে এসে নতুন জনবল নিয়োগের উদ্যোগ নেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের গত ১৩ ফেব্রেুয়ারিতে ছয়টি পদের জন্য ৪৯ জন জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে একজন ইমাম, একজন সাঁটলিপিকার-কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে একজন, স্টোর কিপার পদে একজন, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের জন্য পাঁচজন, টেক্সিডারমিস্ট একজন এবং অফিস সহকারী পদের জন্য ৪০ জন রয়েছে।

 

ইতোমধ্যে এসব কর্মচারী নিয়োগের জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। আগামী কিছুদিনের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা ও যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মোট ১৯৫টি পদ রয়েছে। এদের মধ্যে বর্তমানে ১০১ জন কর্মরত রয়েছেন। বাকি ৯৪টি পদই ফাঁকা। কোন কোন বিভাগের পদ থাকলেও একজনও কর্মরত নেই। এসব পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পদ ফাঁকা রয়েছে চতুর্থ শ্রেণির পদে। চমেকে ১০১ জন অফিস সহায়ক পদ থাকলেও ৫৯ জনের পদই ফাঁকা। ১১টি পদের বিপরীতে পাঁচটি পদ ফাঁকা রয়েছে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদের। ১৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদের বিপরীতে সাতটি পদই খালি রয়েছে। এর বাইরেও বিভিন্ন পদ ফাঁকা রয়েছে।

 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, ‘যখন নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়, তখন এত পদ ফাঁকা ছিল না। যেসব পদের জনবল বেশি প্রয়োজন, তা নির্বাচিত করেই কার্যক্রম শুরু হয়। কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর অনেকেই অবসরে চলে গেছেন। যার কারণে ফাঁকা বেশি হয়ে গেছে। তবে পর্যায়ক্রমে সবগুলো পদের জনবল নিয়োগ করতে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আশা করি, নতুন জনবল নিয়োগ হলে দীর্ঘদিনের সংকট অনেকটাই নিরসন হবে।

পূর্বকোণ/আরডি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট