চট্টগ্রাম বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে ব্যাংকে ঢুকে কৌশলে গ্রাহকের টাকা চুরি, মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৩

৮ আগস্ট, ২০২৩ | ৬:৫৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘির পাড়ে সোনালী ব্যাংকে ঢুকে গ্রাহকের টাকা চুরি চক্রের মূলহোতাসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ আগস্ট) রাতে লক্ষীপুর জেলার রায়পুরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-ঢাকার ওয়ারী জেলার নবাবপুর থানার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে আবুল কালাম (৭০), খুলনা জেলার বাটিয়াঘাটা থানার গ্রাম আমতলা এলাকার মোরসালিন গাজীর ছেলে মো. রিপন গাজী (৪০) ও চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানার ফকির মাজার লেনের মৃত বাবর আলী শেখের ছেলে মো. হারুন অর রশীদ ওরফে ইকবার (৪৫)।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল কবির। তিনি বলেন, গত ৩০ জুলাই দুপুর ১২টায় কাঞ্চন মজুমদার নামে এক কৃষক তার টাকা তুলতে লালদিঘির পাড় এলাকার সোনালী ব্যাংক শাখায় যান। ব্যাংকে গিয়ে তিনি টাকা উত্তোলন করে কাউন্টারের পাশে টাকাগুলো গুনছিলেন। এসময় এক ব্যক্তি টাকা পড়ে গেছে বলে জানায়। তিনি ওই টাকা তুলতে গেলে ওই ব্যক্তি দেড় লাখ টাকা কৌশলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তিনি ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে থানায় এসে মামলা দায়ের করেন।

 

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তিন জন আসামিকে শনাক্ত করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে লক্ষীপুর জেলার রায়পুরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা রিপন গাজীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে চুরি যাওয়া টাকার মধ্যে আড়াই হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার, সহযোগী পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার ও ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে পৃথকভাবে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার ও চোরাই টাকা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তার আবুল কালামের বিরুদ্ধে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, জামালপুর, ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলা এবং আসামি রিপন গাজীর বিরুদ্ধে খুলনা জেলার রুপসা থানা ও লবনচরা থানায় ২টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা তিন চার জন করে বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকে গ্রাহক সেজে প্রবেশ করে। ব্যাংকে প্রবেশ করার পর যারা ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যায় এবং ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে তাদের মধ্য থেকে সহজ সরল ধরনের ব্যক্তিকে টার্গেট করে। তাদের মধ্যে দুয়েক জন টার্গেট করা ব্যক্তিকে বিভিন্ন কথা বলে অথবা টাকা পড়ে গেছে বলে ব্যস্ত রাখে এবং সুযোগ বুঝে আরেক জন টাকা নিয়ে গ্রাহক সেজে ব্যাংক থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে বাকীরাও সুযোগ বুঝে ব্যাংক ত্যাগ করে।

 

পূর্বকোণ/পিআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট