ঈদের ছুটি কার্যত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। সরকারি ছুটির মধ্যেও পোশাক কারখানার বেতন-ভাতা পরিশোধ ও কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের ব্যাংকিং লেনদেনের সুবিধার্থে গতকালের মতো আজও খোলা আছে চট্টগ্রামসহ দেশের বেশকিছু জায়গার ব্যাংকের শাখা। সেগুলো হলো ঢাকা মহানগর, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা।
এছাড়া ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পশুর হাটের সংলগ্ন ব্যাংকের শাখা ও উপশাখা খোলা রয়েছে। হাটের সংলগ্ন এসব শাখার ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। পাশাপাশি রাজধানীতে কোরবানির পশুর স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটে বুথ স্থাপন করে বিনা খরচে জালনোট নোট যাচাইয়ের সেবা দিচ্ছে ব্যাংক।
এর আগে ২২ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারই করে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছিল।
এত বলা হয়, আসন্ন ঈদ-উল-আজহার আগে ২৫ ও ২৬ জুন (রোববার ও সোমবার) স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রমের পর বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার করতে বলা হয়েছে। এর পরের দুইদিন ২৭ ও ২৮ জুন (মঙ্গল ও বুধবার) কোরবানির হাটের নিকটবর্তী ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে। এসব শাখায় সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কোরবানির পশুর হাটে অস্থায়ী বুথ স্থাপন ও স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট শাখা, উপশাখা ও বুথগুলোতে অতিরিক্ত সময়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধি মোতাবেক ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। আর অফিস কার্যক্রম চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকায়) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, বুথসমূহ সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার বিষয়ে ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জারি করা ডিওএস সার্কুলার অনুসারে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, আগামী রোববার থেকে ব্যাংক খুলবে।
পূর্বকোণ/এসি