আজ চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সম্মেলনের বর্ষপূর্তি। গত বছর ৩০ মে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বলা হয়েছিল, ঢাকায় আলাপআলোচনার ভিত্তিতে শিগগির কমিটি ঘোষণা করা হবে। বছর পেরিয়ে গেলেও কমিটি পায়নি চট্টগ্রাম মহানগর।
ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে দেওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরে এখন কার্যত যুবলীগের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে কিছুটা সমস্যা হয়। তবে পদপ্রত্যাশীরা বিচ্ছিন্নভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, নগর যুবলীগের পদ প্রত্যাশীদের বিষয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তথ্য নেয়া হচ্ছে কয়েকমাস আগে থেকেই। যখনই কোন সংস্থা থেকে নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা হয় তখন তারা আশায় বুক বাঁধেন এই বুঝি ঘোষণা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা জানান, মূলত উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগ কমিটি ঘোষণার পরপর কয়েকজনের পদত্যাগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিব্রত অবস্থায় ফেলেছে। তাই মহানগর নিয়ে তারা বেশ চিন্তিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীরা হলেন, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম, নগর যুবলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক দিদারুল আলম ও মাহবুবুল হক সুমন, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম, হেলাল উদ্দিন, নুরুল আনোয়ার, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, সুরজিৎ বড়ুয়া লাভু, আরশাদুল আলম বাচ্চু, হাবিবুর রহমান তারেক, আবদুল মান্নান ফেরদৌস, মোহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, কাউন্সিলর মোহাম্মদ ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইয়াসির আরাফাত, আবু মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, ইলিয়াছ উদ্দিন, আবু নাছের চৌধুরী আজাদ, ইমরান আহমেদ ইমু, শহিদুল কাওসার, ফজলে রাব্বি সুজন ও আলমগীর টিপু, সাইফুল ইসলাম লিমন।
জানতে চাইলে গত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও আগামী কমিটির সভাপতি পদপ্রার্থী মাহবুবুল হক সুমন পূর্বকোণকে বলেন, চুলচেরা বিশ্লেষণ করে আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয় একটি ভাল কমিটি উপহার দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে আমার ধারণা। একটি ভালো কমিটির জন্য সময় একটু বেশি লাগলেও তাতে সংগঠন লাভবান হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারবে।
সভাপতি পদপ্রার্থী নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম পূর্বকোণকে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বুঝেশুনে একটি ভালো কমিটি উপহার দিবেন। তাই হয়তো একটু সময় নিচ্ছেন। বর্তমান চেয়ারম্যানের পিতা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠাতার সন্তান হিসেবে তার হাত দিয়ে ভালো কিছু আসবে এটা সবাই প্রত্যাশা করেন।
সভাপতি প্রার্থী সুরঞ্জিত বড়–য়া লাভু বলেন, দীর্ঘ সেশনজটের কারণে যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। যেহেতু প্রার্থী বেশি তাই হয়তো যাচাই-বাছাইয়ে সময় লাগছে। আশা করছি একটি সুন্দর কমিটি পাবো আমরা।
আরেক সভাপতি প্রার্থী হাবিবুর রহমান তারেক বলেন, ভাল কিছু পেতে হলে একটু সময় দিতে হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আমরা কমিটির জন্য অপেক্ষায় আছি।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শহীদুল কাউসার বলেন, হয়তো কালিমামুক্ত একটি কমিটি উপহার দেওয়ার জন্যই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ একটু সময় নিচ্ছেন। আশা করছি শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পূর্বকোণ/পিআর