চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার অবৈধ ২৫টি ইটভাটা বন্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অবিলম্বে সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নোটিসে বলা হয়েছে। রবিবার (২১ মে) বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের (বিএইচএফ) প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খানের পক্ষে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট কামাল মিয়াজী।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক, চন্দনাইশ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ওসি বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সাতদিনের মধ্যে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ওই বছরের ২৯ নভেম্বর করা রিটে ওই আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এ আদেশসহ অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আরও অনেকগুলো আদেশের কথা নোটিশে উল্লেখ করে বলা হয়, সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন চন্দনাইশ উপজেলা পরিদর্শন করে দেখেছে সেখানে অবৈধ ২৫টি ইটভাটা ব্যবসা পরিচালনা করেছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়, ১২ মার্চ ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ ইটভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। বন্ধের পরিবর্তে এ জরিমানা হাইকোর্টের আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তাই অবিলম্বে ওই ২৫ ইটভাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হচ্ছে। আরও এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় হাইকোর্ট বিভাগে আদালত অবমাননার অভিযোগ বা রিট দায়ের করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯ মার্চ ‘চন্দনাইশের ৮০ শতাংশ ভাটাই অবৈধ’ শীর্ষক দৈনিক কালের কণ্ঠের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চন্দনাইশে বৈধ ও অবৈধ ইটভাটা রয়েছে ৩১টি। এর মধ্যে ছয়টি বৈধ ও ২৫টি অবৈধ।
এসব ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কোনো অনুমোদন নেই। ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের তোয়াক্কা না করে ভাটার মালিকরা অবৈধভাবে বছরের পর বছর ইট পোড়ানো অব্যাহত রেখেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন সাময়িক জরিমানা করলেও পরে মালিকরা সবাইকে ম্যানেজ করে ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচএফ) চন্দনাইশ ইটভাটার ওপর সম্প্রতি একটি জরিপ চালিয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর