চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

জাতীয় নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত হচ্ছে ভোটার-ভোটকেন্দ্র

মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

২১ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আগামী মার্চে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। তবে ভোটার সংখ্যা বাড়ায় আগামী নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়বে বলে জানান নির্বাচন কর্মকর্তারা।

 

 

নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের তালিকা তৈরি করার জন্য থানা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

 

 

ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র নীতিমালার আলোকে ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। ভোটকেন্দ্রের অবকাঠামো, কক্ষ ও অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করে ৩০ দিনের মধ্যে তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই নির্দেশনার পর কয়েকটি উপজেলা ভোটকেন্দ্রের তালিকা পাঠালেও বেশির ভাগ উপজেলা এখনো তালিকা প্রেরণ করেনি।

 

 

চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে তালিকা প্রস্তুত করার জন্য চিঠি দিয়েছে। সেই নির্দেশনা মতে ভোটকেন্দ্রের অবকাঠামো অবস্থা, ভোটকেন্দ্রের নাম, প্রতিষ্ঠানের কক্ষ সংখ্যা, প্রতিষ্ঠানের নাম, নামের কোনো পরিবর্তন হয়েছে কিনা, ভবনের অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করে তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে নির্বাচনের আগে প্রকাশিত গেজেটে ভুল না হয়।’

 

 

এটা নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের অবস্থা ও ভোটকক্ষ- এ দুটিকে গুরুত্ব দিয়ে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়। ২ মার্চ ভোটার সংখ্যা চূড়ান্ত হওয়ার পর ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যাও চূড়ান্ত করা হবে। ভোটার অনুপাতে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়। ভোটকক্ষ যত বেশি হয় ভোটারদের ভোট প্রদানে তত সুবিধা হয়।’

 

 

বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম পূর্বকোণকে বলেন, ‘আগে ভোটকেন্দ্র ছিল ৬২টি। ভোটার সংখ্যা বাড়ায় ভোটকেন্দ্রও বাড়ানো হয়েছে।’

 

 

নির্বাচন কমিশন জানায়, চট্টগ্রামে বর্তমান ভোটার ৫৮ লাখ ৮২ হাজার ৯৮ জন। হালনাগাদ শেষে নতুন ভোটার হচ্ছেন তিন লাখ ১৪ হাজার ২৩৫ জন। বর্তমান ভোটার তালিকার সঙ্গে হালনাগাদ তালিকা সমন্বয়ে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। সেই তালিকা ধরে ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হবে।

 

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ‘নীতিমালায় বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা…ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে।

 

 

হালনাগাদ কার্যক্রমে চট্টগ্রামে নতুন ভোটার হচ্ছেন তিন লাখ ১৪ হাজার ২৩৫ জন। এছাড়া মারা যাওয়ার কারণে ৬০ হাজার ৭৪৮ জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ২০ হাজার ৭১১ জন ভোটার স্থানান্তরিত হয়েছেন। তালিকা যাচাই-বাছাই করে আগামী নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা ও ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করা হবে।

পূর্বকোণ/আরএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট