চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভাইয়ের হত্যা মামলায় নিরীহদের ফাঁসিয়ে ফায়দা লুটার অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক

২০ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৬:৪৯ অপরাহ্ণ

হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে ভাইয়ের হত্যা মামলাকে পুঁজি করে নিরীহ লোকজনকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে মো. মোহছেনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা এ ঘটনাকে পুঁজি করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলায় জড়িয়ে দেয়ার ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় ও হয়রানির অভিযোগও করেছেন জামায়াতের এই ক্যাডারের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম নগরের একটি রেস্টুরেন্টে এলাকাবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন ফজলুল করিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এসএম হাসেম, আমিজরুজ্জামান, সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ও রফিকুল আলম।

 

লিখিত বক্তব্যে ফজলুল করিম জানান, মোহাম্মদ মোহছেন একজন সন্ত্রাসী ও সাবেক শিবির ক্যাডার। সে ১৯৯৯ সালে মির্জাপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর ব্রাশ ফায়ার করে। পরে কৌশলে দেশের বাইরে পালিয়ে যায়। ২১ বছর পর দেশে ফিরে এলাকায় নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। তার অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ। তার সাথে বনিবনা না হলে হাতুড়ি পিটিয়ে লোকজনকে রক্তাক্ত করে। সম্প্রতি তার হামলার শিকার হয়েছেন বয়োবৃদ্ধ থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়া ছাত্ররাও।

তিনি আরও বলেন, মোহছেনের ভাই মোমেন এলাহী কালুর স্ত্রীর সঙ্গে এনায়েতুল গনি সুমনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। কালুর স্ত্রীর পাশাপাশি সুমনের সঙ্গে তাদের সৎবোন আছমার সঙ্গে চলে প্রেমের সম্পর্ক। পরে আছমাকে সুমন বিয়ে করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মোহছেন ও তাদের ভাইয়েরা ক্ষিপ্ত হন। সুমন ও তার পরিবারের ওপর নির্যাতন শুরু করে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর হোছেন এলাহী খুন হন। এ ঘটনায় এনায়েতুল গনি সুমন গ্রেফতারের পর আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দেয়। এতে দুই পরিবারের দ্বন্দ্বে খুনের ঘটনা উঠে আসে। পরে হোছেন এলাহী খুনের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় একটি মামলায় ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। ওই মামলায় হত্যায় জড়িত আসামিদের সাথে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এলাকার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়। অপরদিকে মূল আসামি ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর এলাকার ৩২ জনকে আসামি করে আরও একটি সিআর মামলা দায়ের করেন মোহছেন। 

 

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মো. রাশেদ বলেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে আমি চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার অফিসে ও কাতালগঞ্জের বাসায় ছিলাম। ঘটনার আগেও কোন দিন হাটহাজারী বা এলাকায় যাইনি। তার স্বপক্ষে প্রমাণস্বরপ বাসায় ও অফিসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে। এছাড়া ঐ দিন আমার অবস্থান ট্র্যাকিং করতে গত বছরের ৪ আগাস্ট জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন করেছি। হাটহাজারীর চারিয়া এলাকার রাশেদ নামে আরও একজনকে আসামী করা হয়েছে। ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে উল্লেখিত রাশেদ ওই ব্যক্তি হতে পারে বলে আমার ধারণা।

স্থানীয় যুবলীগ নেতা এম এস হাশেম বলেন, ঘটনার দিন আমি চট্টগ্রাম নগরে দলীয় প্রোগ্রামে ছিলাম। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মোহছেন আমাকে মামলায় আসামি করেন। পুলিশ দিয়ে নির্যাতন চালায়। অথচ জামায়াত ক্যাডার মোহছেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও বীরদর্পে সে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

 

পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট