চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

আগামী মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ মার্চ। এরআগে প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। ইতোমধ্যে যেসব এলাকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে তাদের আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে হবে।

 

চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক জেলাসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া চট্টগ্রামের নেতাদের সাথে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকায় পার্লামেন্ট মেম্বার ক্লাবে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন জানান, আগামী সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জিতিয়ে আনতে চট্টগ্রামে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। থানা, ওয়ার্ড এলাকায় যেসব সম্মেলন হয়েছে, সভাপতি ও সেক্রেটারি ঘোষণা দিয়ে শুধু কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি, সেখানে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে সম্মেলন হয়নি সেখানে সম্মেলন করতে বলা হয়েছে।

 

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, আগামী ১১ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে নগরীর যেসব ওয়ার্ড ও থানায় সম্মেলন হয়নি সেখানে সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে আ জ ম নাছির বলেন, বিএনপির নৈরাজ্যের বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী চলমান সভা-সমাবেশ অব্যাহত থাকবে। সংগঠনকে শক্তিশালী, জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং সদস্য সংগ্রহ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

বৈঠকের বিষয়ে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান জানান, দলে নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে বলা হয়েছে। পাশপাশি আগামী সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুুতি এখন থেকেই শুরু করতে বলা হয়েছে। নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।

 

তিনি বলেন, বৈঠকে বলা হয়ছে- ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। অবশ্যই নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হবে আওয়ামী লীগকে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলের জন্য কাজ করতে হবে। কোনো কোন্দল রাখা যাবে না। দলীয় কোন্দল থাকলে তা দ্রুত নিরসনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এছাড়া উপজেলা ও থানা পর্যায়ে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় নেতারা সফর করবেন বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নানা কারণে যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে দল নমনীয় ভূমিকায় রয়েছে। ইতোমধ্যে যারা লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

 

বিএনপির সভা-সমাবেশ প্রসঙ্গে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলনের শক্তিমাত্রা কতটুকু আছে তা আওয়ামী লীগ জানে। বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়। আমাদের লক্ষ্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনগণের ভোটে ফের ক্ষমতায় যাওয়া।

 

আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের সঞ্চালনায় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। প্রধান অতিথি ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

 

কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর প্রমুখ।

পূর্বকোণ/আরএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট