চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

চট্টগ্রামে আদালত থেকে আসামি পলায়ন, ৭ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ জানুয়ারি, ২০২৩ | ২:২২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে গেছে শামসুল হক বাচ্চু নামে মাদক মামলার এক আসামি। এ ঘটনায় ৭ জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানা যায় রবিবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে। ঘটনার পরদিন শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) নগরীর কোতোয়ালী থানায় সদর কোর্ট পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

 

মামলায় একমাত্র আসামি শামসুল হক প্রকাশ বাচ্চু (৬০)। এ ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

 

জানা গেছে, পালিয়ে যাওয়া শামসুলের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার কালীরবাজার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। তার বাবার নাম মৃত রহমত আলী। তার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মাদক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে চন্দনাইশ থানার উত্তর গাছবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিশেষ চেকপোস্ট বসায় চন্দনাইশ থানা পুলিশ। এ সময় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ শামসুল হক বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চন্দনাইশ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বাচ্চুকে আদালতে পাঠানো হয়। চন্দনাইশ থানা পুলিশ জিআরও শাখায় আসামি বাচ্চুকে বুঝিয়ে দেন। পরে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। আসামিকে হাজতে রাখার পর ওইদিন সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানোর জন্য হ্যান্ডকাফ লাগানো হয়। এরপর তাকে হাজতখানার সামনে সেরেস্তা টেবিলের পেছনে একটি বেঞ্চে বসতে দেওয়া হয়। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা আসামিদের কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়ার ফাঁকে বাচ্চু পালিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন জানান, মাদক মামলার আসামি পালিয়ে যাওয়া ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৭ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কোন ধরনের অবহেলা থাকলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও আসামিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলমান রয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট