চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে ৫ নভেম্বর সিআরবিতে মহাসমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ অক্টোবর, ২০২২ | ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের ‘ফুসফুস’ সিআরবি বাঁচানোর আন্দোলনে শুরুর দিকে অনেকেই হাসি-ঠাট্টা করেছেন। তবে সেই সময় আমাদের সাহস জুগিয়েছে পূর্বকোণ। পূর্বকোণ পরিবারের আকুণ্ঠ সমর্থন এবং লেখনি আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। চট্টগ্রামের সম্পদ এবং ঐতিহ্য রক্ষায় দৈনিক পূর্বকোণের সাহসী ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়।

 

গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় পূর্বকোণ সেন্টারে দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে এসে সিআরবি রক্ষার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের নেতারা এসব কথা বলেন। পূর্বকোণ সেন্টারের ইউসুফ চৌধুরী কনফারেন্স হলে পূর্বকোণ সম্পাদকের সাথে মতবিনিময় করেন তারা।

 

নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের সদস্য সচিব এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, সিআরবি রক্ষায় আমরা টানা ৪৭০ দিন আন্দোলন চালিয়ে গেছি। একদিনের জন্যও আন্দোলন থামাইনি। চট্টগ্রামের সব স্থানীয় পত্রিকা আমাদের সহযোগিতা করেছে। পূর্বকোণ সম্পাদক সবসময় পাশে থেকে আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। সহযোগিতা করেছেন।

 

তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনের শুরুর দিকে অনেকেই হাসি-ঠাট্টা করেছেন। তবে আমাদের অনুভূতি জাগানোর ক্ষেত্রে কাজ করেছে পূর্বকোণ। সিআরবি বাঁচানোর আন্দোলনে পূর্বকোণ আমাদের সাহস জুগিয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমেই আমাদের আন্দোলনের সংবাদ সবার কাছে পৌঁছেছে।

 

বাবুল বলেন, সিআরবি রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী ৪ নভেম্বর সিআরবিতে সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমাবেশ এবং ৫ নভেম্বর মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি প্রধান অতিথি এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

 

দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন চৌধুরী বলেন, সিআরবি’র মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে টানা ৪৭০ দিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানাই। আমরা প্রথমে আন্দোলনের গুরুত্ব বুঝার চেষ্টা করেছি। যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে এরপর প্রতিদিন গুরুত্বের সাথে পত্রিকায় কাভারেজ দিয়েছি। ‘শ্বাস নিতে চায় চট্টগ্রাম’ এই শিরোনামে ধারাবাহিকভাবে বিশিষ্টজনের মতামত ছাপিয়েছি।

 

তিনি বলেন, শুধু সিআরবি নয়- আমি আশা করবো, চট্টগ্রামের অন্যান্য সমস্যা সমাধানেও নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের নেতারা কাজ করবেন। সিআরবি’র মত চট্টগ্রামের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। এগুলো নিয়েও আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।

 

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ বলেন, আমরা সিআরবি এলাকায় হাসপাতালের বিরোধিতা করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়েছেন। আমাদের সাথে ছিলেন চট্টগ্রামের সব মন্ত্রী-এমপি। চট্টগ্রামের সব মিডিয়া, বিশেষ করে পূর্বকোণ আন্দোলনের নিউজ গুরুত্বের সাথে কাভারেজ দিয়েছে।

 

নাগরিক সমাজের নেতা মো. ইউনুস বলেন, চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সব আন্দোলনে পূর্বকোণের প্রতিষ্ঠাতা ইউসুফ চৌধুরী ও চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরী নেতৃত্ব দিতেন। তাদের সৈনিক হয়ে আমরা এখন আন্দোলন করছি। আন্দোলনে সফল হয়েছি। আজ ইউসুফ চৌধুরী ও মহিউদ্দিন চৌধুরী বেঁচে নেই। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে চট্টগ্রামে আন্দোলন হচ্ছে না। চট্টগ্রামের সম্পদ ও ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদের আন্দোলন করতে হবে।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি যতটুকু জানি, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের পূর্বকোণ ও আজাদী পত্রিকা পড়েন। চট্টগ্রামের সমস্যা সম্পর্কে তিনি এই দু’টি পত্রিকা পড়ে অবগত হন। চট্টগ্রামের সব মিডিয়া সিআরবি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। গুরুত্বের সাথে কাভারেজ দিয়েছে।

 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের নেতা বেলায়েত হোসেন, স্বপন মজুমদার, হাসিনা আক্তার টুনু, নেছার আহমদ খান, আমিনুল ইসলাম মুন্না, রোকন উদ্দিন, এডভোকেট জায়দিদ, শাহরিয়ার, নারায়ন দাশ, আব্দুল মজিদ বিপ্লব, এডভোকেট শাহরিয়ার তানিন, অসীম দাশ, অধ্যাপিকা মিনু মিত্র, এএইচএম জিয়া উদ্দিন, জসিম উদ্দিন বাবুল, দিলরুবা খানম।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট