মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রটি নান্দনিক রূপ পেয়েছে। জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে দুই পাহাড়ের মাঝখানে নির্মাণ করা হয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ, নন্দনকানন পার্ক, কুঞ্জছায়া ভিউ পয়েন্ট ও স্বর্ণতোরণ। এছাড়া আম্ফি থিয়েটার ও খমপুই রেস্ট হাউস নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। এসব নান্দনিক স্থাপনা নির্মাণ হওয়ায় পর্যটকদের বাড়তি আর্কষণে পরিণত হয়েছে। এতেজেলার পর্যটন অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করছে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬শ ফুট উপরে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র। ১৯৮৩ সালে খাগড়াছড়ি জেলা সৃষ্টির পর থেকেইজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এটি পরিচালিত হয়ে আসছে। দীর্ঘদিন জেলার প্রধান পর্যটন আর্কষণ অবহেলিত থাকলেও তা এবার বদলেছে । এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর আলুটিলা। এখন এখানে এসে যে কেউ মুগ্ধ হবে। আলুটিলার চূড়া থেকে পর্যটকরা পুরো খাগড়াছড়ি শহর পর্যবেক্ষণ করে সৌন্দর্য উপভোগ করে। নান্দনিক আলুটিলা দেখতে প্রতিদিন ভিড় বেড়েছে।

নতুন নান্দনিক স্থাপনা হওয়ায় খুশি পর্যটকরা পর্যটনের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে আলুটিলাকে ঘিরে ম্যাউন্টেন ট্যুরিজমের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। রহস্যেঘেরা আলুটিলা সুড়ঙ্গে প্রবেশের পথটিও মসৃণ করা হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে সিঁড়িগুলোও।যার ফলে দর্শনার্থীরা এখন আগের চেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে গুহায় প্রবেশ করে। খাগড়াছড়ির প্রধান আকর্ষণ আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র। ঈদসহ নানা উৎসবে পর্যটকরা এসে যাতে ভালো ট্যুরিজম স্পট পান সে বিষয়টি সামনে রেখে আলুটিলাকে নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে। বাইরের থেকে আগত পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও পরিবার নিয়ে ছুটির দিনে ভিড় করছে বদলে যাওয়া আলুটিলা দেখতে। সবমিলে পাহাড়ের এ পর্যটন কেন্দ্রটি নতুন আঙ্গিকে সাজানোর ফলে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে আলুটিলা।

পূর্বকোণ/আর