চট্টগ্রাম থেকে অপহরণের তিন বছর পর মো. সিয়াম (৮) নামে এক শিশুকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করা করেছে পিবিআই। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টায় ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল এলাকার একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা জানান, ২০১৯ সালের ২৫ জুন বিকাল সাড়ে ৫টায় বাকলিয়া থানাধীন বাসার সামনে থেকে অপহরণের শিকার হয় প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. সিয়াম। এ ঘটনায় তার মা ইয়াছমিন বেগম বাকলিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। ওই সময় অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীর মাকে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ৪০ হাজার টাকা দিতে রাজি হলে শিশুটিকে ফেরত দেওয়া হয়নি। বাকলিয়া থানা পুলিশ অপহরণের সঙ্গে জড়িত মো. নাছির নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। সে অপহরণের কথা স্বীকার করলেও শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে এ মামলার তদন্তভার যায় পিবিআইয়ের কাছে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার নাছির পিবিআইকে জানান, নাছির ও শিশুটির পরিবার বাকলিয়া থানাধীন একই কলোনিতে বসবাস করতেন। নাছির ঋণগ্রস্ত ছিলেন। সিয়ামকে মার্বেল কিনে দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিপণ আদায় করে ঋণের টাকা পরিশোধ করা। অপহরণের পর সিয়ামকে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে যায়। ঢাকায় নেওয়ার পর সিয়ামকে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন নাছির। এক পর্যায়ে সিয়াম কৌশলে পালিয়ে যায়। সে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন উত্তর পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল এলাকা সংলগ্ন আল আমিন রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তখন আল আমিন রেস্টুরেন্টের মালিক তাকে রেস্টুরেন্টের কাজে রাখে। রেস্টুরেন্টের মালিক শিশুটির কাছ থেকে বাবা-মায়ের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে পারেনি।
পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, প্রযুক্তিসহ নানাভাবে তদন্তের মাধ্যমে তিন বছর আগে অপহরণ হওয়া শিশুটিকে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।
পূর্বকোণ/এএইচ