চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

মানসিক বিভাগে ৪০ শতাংশই সিজোফ্রেনিয়া রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ মে, ২০২২ | ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগের বহির্বিভাগ থেকে গত এক বছরে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন সাড়ে পাঁচ হাজারের অধিক মানুষ। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে আসা এসব রোগীদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্ত হন।

মানসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিজোফ্রেনিয়া রোগীর সংখ্যা দিনদিন বাড়লেও সুখবর হচ্ছে- সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করলে ৫০ শতাংশ রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। তাই সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এমন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে বিশ্বে আজ মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব সিজোফ্রেনিয়া দিবস’। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আশার সাথে সংযোগ।’

বাংলাদেশেও ছোট পরিসরে পালন করা হয় দিবসটি। এরমধ্যে চট্টগ্রামেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব সিজোফ্রেনিয়া দিবস। এদিন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, র‌্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, সিজোফ্রেনিয়া একটা জটিল মানসিক রোগ। মানসিক রোগের মধ্যে এটাই সবচেয়ে জটিল এবং এটার চিকিৎসাও জটিল। এ রোগ নারী-পুরুষ উভয়ের সমানভাবে হয়। তবে পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায় রোগটি। বাংলাদেশে প্রতি একশ’জনের মধ্যে একজন এই রোগে আক্রান্ত হয়। প্রথম দিকে অনেকে বুঝতে পারেন না যে তারা সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছেন। রোগটি নিয়ে মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে। এ সমস্যাটি ২০ বছর বয়সের শুরুর দিকে বেশি আক্রান্ত হয় মানুষ। ৪৫-এর পর এটা কমে যায়। ৫০ বছরের পর আর হয় না। ৫৫ বছরের পর নতুন করে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুব কম।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) মনোরোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. বিজন কুমার দত্ত বলেন, ‘সিজোফ্রেনিয়া একটি জটিল মানসিক রোগ। শতকরা ১জন মানুষের মধ্যে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ রয়েছে। এই রোগটি সাধারণত ১৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে একজন সিজোফ্রেনিয়া রোগীর চিকিৎসার জন্য যতদ্রুত সম্ভব লক্ষণ দেখা যাওয়ার সাথে সাথে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করা গেলে এবং দীর্ঘদিন ওষুধ গ্রহণ করলে ভালো ফলাফল আশা করা যায়।’

পূর্বকোণ/এস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট