চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

মর্গে লাশের সঙ্গে যৌনাচার : আটক সেলিম ৩ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ মার্চ, ২০২২ | ৬:২৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে নারী ও শিশুর মৃতদেহের সঙ্গে যৌনাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার সেলিমকে ৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আব্দুল হালিমের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের উপপরিদর্শক আবছার উদ্দিন রুবেল।

তিনি জানান, মৃতদেহের সঙ্গে যৌনাচারের মামলায় মঙ্গলবার আসামির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ। শুনানি শেষে তাকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদলত।

এর আগে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তাকে আটক করে পুলিশ। এদিন রাতে এ ঘটনায় সিআইডির উপপরিদর্শক কৃষ্ণ কমল বণিক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেলিম কুমিল্লার লাকসাম থানার সাতেশ্বর এলাকার বাসিন্দা।

কৃষ্ণ কমল বণিক জানান, গত বছর পৃথক ঘটনায় নারী ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় নগরীর চকবাজার ও চান্দগাঁও থানায় দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। ওই মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্ব পান উপ পুলিশ পরিদর্শক কৃষ্ণ কমল বণিক। গত বছর ৭ ফেব্রুয়ারি নারী ও একই বছর ২৫ এপ্রিল শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ দুটিতে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষা করতে এইচভিএস নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে ডিএনএ পরীক্ষায় দুই নমুনাতেই একই পুরুষের শুক্রাণুর (বীর্য) উপস্থিতি পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত করার আগ পর্যন্ত মরদেহ দুটি হাসপাতালের ১ নম্বর ইমার্জেন্সি মর্গে ছিল। সেখানে মরদেহের পাহারায় ছিলেন সেলিম। সেলিমই এই অপকর্ম করেছেন বলে সন্দেহ করেন সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা। পরে সেলিমকে সিআইডি অফিসে চায়ের দাওয়াত দেওয়া হয়। চা পানের সময় সেলিমের মুখ থেকে বের হওয়া লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেটি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পরীক্ষার ফলাফলে নিশ্চিত হওয়া যায় ওই মরদেহ দুটিতে যে ব্যক্তির শুক্রাণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে তিনি এই সেলিম।

 

পূর্বকোণ/পিআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট