চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

বই প্রকাশে তরুণরাই এগিয়ে, শীর্ষে কবিতা

১ মার্চ, ২০২২ | ১:৩০ অপরাহ্ণ

অনুপম চৌধুরী

পৃথিবীর প্রায় সফলতা তরুণদের হাত ধরে এসেছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শক্তি জুগিয়েছিল তারুণ্য। এই তরুণরাই পারে পৃথিবী জয় করতে। নগরীর এম আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে চলছে অমর একুশে বইমেলা। এবারও বই প্রকাশে এগিয়ে আছে তরুণরা। এই বইমেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বেশকিছু নতুন বই প্রকাশিত হয়। যার বেশির ভাগই তরুণ লেখকদের দখলে। এবার হয়নি তার ব্যতিক্রম। গতকাল মেলা ঘুরে যা জানা গেল, বইমেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিটা প্রকাশনার তালিকায় বেশকিছু তরুণ লেখকের বই প্রকাশ করেছে। তরুণদের বই প্রকাশের বেশিরভাগই কবিতাগ্রন্থ। তরুণ কবির সংখ্যা অন্যান্য (গল্প. উপন্যাস, ছড়া) বিষয়ের চেয়ে বেশি।
তৃতীয় চোখ প্রকাশনার স্বত্বাধিকারী কবি আলী প্রয়াস বলেন, ‘তৃতীয় চোখ বরাবরই কবিতার বই করে। এবারের প্রকাশিত ১৬টি বইয়ের বেশিরভাগই কবিতাগ্রন্থ। তৎমধ্যে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় শফিউল্লাহ নান্নু’র ‘লাল হইতরি’, নাসের ভূট্টো’র ‘কবিতা সমগ্র’, শাহেদ সাদ উল্লাহ’র ‘পাথরের মতো চোখ’ উল্লেখযোগ্য।
চন্দ্রবিন্দু প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী কবি চৌধুরী ফাহাদ বলেন, ‘চন্দ্রবিন্দু সবসময় তরুণদের প্রাধান্য দেয় সাথে খোঁজে ভালো লেখা। এবারও বেশকিছু তরুণের কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন থেকে। তারমধ্যে নাহিদ ধ্রুব’র ‘শূন্যে হারানো অরণ্যে’, পিয়াস মজিদ’র ‘অফ টপিক’, জহির রিপন’র ‘ঈশ^রগঞ্জ’, মুহিন তপু’র ‘তীব্র জ্বরের মৌসুমে’ ও আল নোমান’র ‘দুধ কুমার নদীতে একটি শাপলাফুল ফোটে’ উল্লেখযোগ্য।
প্রিন্টপুকুর প্রকাশনার স্বত্বাধিকারী কবি জয়ন্ত জিল্লু বলেন, প্রিন্টপুকুর প্রকাশনায় এবার যে কয়টি বই বেরিয়েছে সবই কবিতার। প্রিন্টপুকুর সবসময় ভালো লেখা বা ভালো পাণ্ডুলিপিকে প্রাধান্য দেই। সেই সূত্রে তরুণরা এগিয়ে থাকে। কবিতার বইয়ের মধ্যে স্বরূপ সুপান্থ’র ‘ভাষাবিহ্বল’, আবু সাঈদ ওবাইদুল্লাহ’র ‘সমস্ত বিসমিল্লাহ’, শামশাম তাজিল’র ‘আলফালা গলির ভুলগুলি’, একরাম আজাদ’র ‘বাঁ পাশের শূন্য’ উল্লেখযোগ্য।
তরুণদের বই প্রকাশ নিয়ে কবি শেখর দেব বলেন, ‘তরুণরা পঠন-পাঠনের চেয়ে বই বের করায় ব্যস্ত থাকে। যার ফলশ্রুতিতে তারা একটি পর্যায়ে গিয়ে আফসোস করে। তরুণরা হুটহাট বই না করে একটু সময় নিয়ে বই প্রকাশ করলে ভালো।’
১৯ দিনের এই বইমেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। তবে ছুটির দিনে মেলা শুরু হয় সকাল ১০টা থেকে। মেলা চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত।

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট