চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

চমেক মর্গে লাশের সাথে যৌনতা, অস্থায়ী কর্মচারী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | ১০:৩৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে মর্গে রাখা মৃত নারী ও শিশুকে ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। অভিযুক্ত মো. সেলিম (৪৮) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল লাশঘরের অস্থায়ী কর্মচারী। আজ সোমবার সেলিমকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে সিআইডি পুলিশ, চট্টগ্রামের পরিদর্শক মুহাম্মদ শরীফ বলেন, চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় মারা যাওয়া ৩২ বছর বয়সী এক নারী ও ১২ বছর বয়সী শিশুর অপমৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এ তথ্য উদ্ঘাটন করে সিআইডি। 

সেলিম কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার সাতেশ্বর গ্রামের নোয়াব আলীর (মৃত) ছেলে। 

ঘটনার বর্ণনায় সিআইডি কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছর পৃথক ঘটনায় নারী ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় নগরীর চকবাজার ও চান্দগাঁও থানায় দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। ওই মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্ব পান উপ পুলিশ পরিদর্শক কৃষ্ণ কমল বণিক। গত বছর ৭ ফেব্রুয়ারি নারী ও একই বছর ২৫ এপ্রিল শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ দুটিতে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষা করতে এইচভিএস নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে ডিএনএ পরীক্ষায় দুই নমুনাতেই একই পুরুষের শুক্রাণুর (বীর্য) উপস্থিতি পাওয়া যায়। 

সিআইডি জানতে পারে, ময়নাতদন্ত করার আগে পর্যন্ত মরদেহ দুটি হাসপাতালের ১ নং ইমার্জেন্সি মর্গে ছিল। সেখানে মরদেহের পাহারায় ছিলেন সেলিম। সেলিমই এই অপকর্ম করেছেন বলে সন্দেহ করেন সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা। পরে সেলিমকে সিআইডি অফিসে চায়ের দাওয়াত দেওয়া হয়। চা পানের সময় সেলিমের মুখ থেকে বের হওয়া লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেটি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পরীক্ষার ফলাফলে নিশ্চিত হওয়া যায় ওই মরদেহ দুটিতে যে ব্যক্তির শুক্রাণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে তিনি এই সেলিম।  এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। 

 

পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট