চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

নগর ছাত্রলীগ: তবুও হয় না সম্মেলন

২৯ জানুয়ারি, ২০২২ | ১২:৩৪ অপরাহ্ণ

ইফতেখারুল ইসলাম

 

নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে লক্ষ্য রেখে ইউনিট কমিটিসমূহ গঠনের পাশাপাশি নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং সমস্যা চিহ্নিত করতে গঠন করেছে তদারকি কমিটিও। এসব কারণে নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি পেয়েছে। প্রায় একই সময়ে অনুমতি পাওয়া নগর ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে তেমন আলোচনা নেই। অথচ চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারাও চান সম্মেলনের মাধ্যমে নগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হোক। নগর ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগও চায় নতুন কমিটি আসুক। তবুও সম্মেলনের কোন লক্ষণ নেই।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিত নেতার সংখ্যা ৭০ এর উপরে। যারা সংগঠনের চেয়ে নিজের সংসার এবং কর্মজীবনে বেশি সময় দিচ্ছেন। এছাড়া তিন বছরের কমিটি এখন ৮ বছর পেরিয়ে ৯ বছরে পড়েছে। নগর ছাত্রলীগের একাধিক নেতারা সাথে আলাপকালে জানান, তারা এখন নিজেদেরকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা পান। কারণ তাদের ছাত্রত্ব চলে গেছে অনেক আগে। তাদের এখন যুবলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড-থানা পর্যায়ে রাজনীতি করার সময় এসে গেছে। কিন্তু নগর ছাত্রলীগের সম্মেলন কোনভাবেই হচ্ছে না। 

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী পূর্বকোণকে বলেন, চট্টগ্রামে গিয়ে ছাত্রলীগের অবস্থা দেখে এসেছি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা হয়েছে। তাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে কমিটিতে নতুন করে আর কাউকে যুক্ত না করে। তবে এর আগে তারা কাউকে কাউকে যুক্ত করেছে। সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সাংগঠনিক প্রতিবেদন দিয়েছেন। তাঁরা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেভাবে কাজ করা হবে। তবে তার আগে আপাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) জানাব। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সেভাবে কাজ করবো। তবে এখন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় হল কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কিছুটা ব্যস্ত আছে। এরপর হয়তো আমরা চট্টগ্রামের বিষয়ে চিন্তা করবো।

জানতে চাইলে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর পূর্বকোণকে বলেন, সিটি কলেজ এবং এমইএস কলেজের কমিটি করতে বলেছে। এই দুই কলেজে কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া খুলশী, কোতোয়ালী এবং ইপিজেড থানা কমিটি এখনো করা হয়নি। এসব দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মহানগরে ছাত্রলীগের ইউনিট এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি ছিল না। এখন থানা, কলেজ এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বেসিক কমিটিগুলো করে সম্মেলনের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে তারিখ দিলে সম্মেলন করে ফেলব। তিনি জানান, নগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক ইউনিট থানা এবং কলেজগুলো। থানার অধীনে ওয়ার্ডগুলো।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের বিষয় ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন উল্লেখ করে বলেন, বড়রাও চাইছেন সম্মেলনের মাধ্যমে নগর ছাত্রলীগের কমিটি হোক। করোনা বিধিনিষেধের কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রমে কিছুটা ধীর গতি ছিল। তবে যেটুকু বাকি আছে তা সম্পন্ন করতে কাজ চলছে। সম্মেলন না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর চট্টগ্রাম মহানগরে সম্মেলনের পরিবেশ ছিল না। পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। কাঠামো তৈরি করেছি। বেশকিছু ওয়ার্ডের কমিটি করা হয়েছে। সম্মেলনের প্রস্তুতি শেষ দিকে। তবে এই মুহূর্তে ইউনিট পর্যায়ে গুছিয়ে সম্ভব নয়। তাই ইউনিট পর্যায়ে কমিটি গঠনের বিষয় নিয়ে তারা ভাবছেন না।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট