চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হয়ে ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত, সেই ডিপজল গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ জানুয়ারি, ২০২২ | ৪:৪৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হল- সাত্তার শাহ প্রকাশ ডিপজল (৪১), তার সহযোগী রাজু দেবনাথ (৩৬) ও আব্দুল্লাহ্ আল মারুফ (২২)। এদের মধ্যে ডিপজল ১৯টি মামলার আসামি।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৮টায় ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডের খালপাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ডিপজলের ঘর থেকে একটি এলজি, এক রাউন্ড কার্তুজ ও ৫ হাজার টাকার জালনোট এবং ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে ইয়াবা বিক্রিতে সহযোগীতার অপরাধে ডিপজলের স্ত্রী রোজিনা বেগমকেও (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ডিপজল রাউজান থানার কদলপুরের ফরিদ শাহ’র ছেলে। বর্তমানে তিনি নগরীর ইপিজেড থানার খালপাড়া কাজির গলি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর দুপুরে পতেঙ্গার মাইজপাড়া এলাকায় তিন ছিনতাইকারী বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন (সেলস) অফিসার মো. আসলামের টাকার ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হলে তাকে ছুরিকাঘাতে আহত করে। এতে তার দুই হাতের কব্জির রগ কেটে যায়। এ ঘটনায় পতেঙ্গা জোনের ডিস্ট্রিবিউশন সুপারভাইজার (সেলস) মো. কামরুল হাসান বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা তিন জনকে আসামি করে একটি মামলা রুজু করেন।

তিনি আরো জানান, আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ১৯ মামলার আসামি সাত্তার শাহ প্রকাশ ডিপজল ও রাজু দেবনাথকে শনাক্ত করা হয়। গতকাল রাত ৮টায় অভিযান চালিয়ে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডস্থ খালপাড়ের পূর্ব পাশে জাহাঙ্গীরের বিল্ডিং থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ইয়াবা বিক্রিতে সহযোগীতার অভিযোগে তার স্ত্রী রোজিনাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। একইসঙ্গে রাজুর দেওয়া তথ্যমতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় এবং মোটারসাইকেল সরবরাহকারী আব্দুল্লাহ্ আল মারুফকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ ঘটনায় জড়িত অপর আসামি রুবেলকে গ্রেপ্তারে পটিয়ায় অভিযান চালালেও গ্রেপ্তার করা যায়নি।

তিনি জানান, রুবেল এবং মাহফুজ পেশায় বাইকচালক। রুবেল আকমল আলী রোড পকেট গেট এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। বাইক চালানোর পাশাপাশি সে নগদ টাকার বাহককে খুঁজে বেড়াতো। এক সময় সে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন অফিসার (সেলস) মো. আসলাম বিকাশের ই-লোড দিয়ে নগদ টাকা সংগ্রহ করে। তার দৈনিক কালেকশন ৩ লাখ টাকারও বেশি। বিষয়টি সে সহযোগী বাইক চালাক মাহফুজকে জানায়। মাহফুজ রাজু দেবনাথকে জানায় আর রাজু জানায় ডিপজলকে। ৫ ডিসেম্বর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মোটরসাইকেল যোগে ডিপজল, রাজু দেবনাথ এবং মাহফুজ মাইজপাড়া কন্ট্রোলের মোড় অবস্থান নেয়। মাহফুজ বাইকটি চালাচ্ছিল। রুবেল আরেকটি মোটরসাইকেল নিয়ে কিছুটা দূরে অবস্থান করে। আহত আসলাম আসার সময় পেছন থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ডিপজল, রাজু দেবনাথ এবং মাহফুজ তার গতিরোধ করে ব্যাগ টানাটানি করে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা ব্যর্থ হয়ে আসলামকে ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করে।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট