চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত মংক‍্যচিং এমএনপি’র ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’

বান্দরবান প্রতিনিধি

৪ জানুয়ারি, ২০২২ | ২:০৯ অপরাহ্ণ

বান্দরবানে লামায় রূপসীপাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত মংক‍্যচিং মারমা মগ লিবারেশন পার্টির (এমএনপি) ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’ ছিলেন। আজ (৪ জানুয়ারি) তার আলীকদম নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই তাকে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে রূপসীপাড়া ইউনিয়নের অংহ্লাপাড়ায় একটি খামার বাড়িতে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে।

জানা গেছে, মিয়ানমারের অধুনালুপ্ত আরাকান লিবারেশন পার্টির দলছুট সদস্যদের নিয়ে ২০১৯ গঠিত মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি) এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির সঙ্গে। মগ লিবারেশন পার্টিকে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে দ্বন্দ্ব, পরে এই দ্বন্দ্ব আওয়ামী লীগের সাথেও জড়ায়। গত পাঁচ বছরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে ২৫ জনেরও বেশি নেতাকর্মী সমর্থক নিহত হয়েছে বান্দরবানে। মগ লিবারেশন পার্টির বেশ কিছু নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার পর মংক‍্যচিং মারমা গত বছর মগ লিবারেশন পার্টির সেকেন্ড ইন কমান্ডের দায়িত্ব নেন।

স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন থেকেই জনসংহতি সমিতি এই নেতার ওপর নজরদারি করছিল। সর্বশেষ সোমবার সন্ধ্যায় মংক‍্যচিং রূপসীপাড়ার অংহ্লা পাড়ায় তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে সেখানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। লামার রূপসীপাড়া এলাকাটি জনসংহতি সমিতির প্রভাবিত এলাকা বলে জানা গেছে।

রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া থেকে মংক‍্যচিং রূপসীপাড়ায় যাওয়ার পরই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা মংক‍্যচিং মারমাকে হত্যা করে।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, নিহত মংক‍্যচিং মারমা এমএলপির সাথে জড়িত ছিল বলে শোনা যাচ্ছে। তবে কারা তাকে হত্যা করেছে এখনো বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

জনসংহতি সমিতির লামা উপজেলা শাখার সভাপতি অংগ‍্য মারমা জানান, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে মংক‍্যচিং খুন হয়ে থাকতে পারে।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট