চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

খারাপ করার ভয়ে পালিয়ে যাওয়া ছাত্র আনাস পেল জিপিএ ৫

২ জানুয়ারি, ২০২২ | ৮:৫৬ অপরাহ্ণ

স্কুল ছাত্র আনাস মো. মোস্তাকিম হকের এসএসসি পরীক্ষা আশানুরুপ হয়নি। তাই খারাপ ফলাফল হবে এমন আশংকায় একটি চিরকুট লিখে বাড়ি থেকেই পালিয়ে গিয়ে হোটেল বয়ের চাকুরি নেয় সে। শুধু তাই নয়, পালিয়ে যাবার পর থেকে বন্ধ করে দেয় নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও। ফলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর দেখে জিপিএ ৫ পেয়েছে সে। পরে মোবাইল চালু করলে রংপুর থেকে উদ্ধার করে তাকে পুলিশ।

সিনেমার গল্পের মতো ঘটনার সৃষ্টিকারী এই স্কুল ছাত্র আনাস মো. মোস্তাকিম হকের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নে। তবে সে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছিলো। এই স্কুল থেকেই এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় সে।

আনাস জানায়, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। কিন্তু তার পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা আশানুরুপ হয়নি। তাই ধারণা ছিলো এই বিষয়ে ফল খারাপ হবে। এ কারণে অবসাদ গ্রাস করে তাকে। হতাশা ও অবসাদ থেকে গত ২২ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় রংপুরে। সেখানে সিলসিলা হোটেলে গিয়ে শুধুমাত্র থাকা ও খাওয়া ফ্রি হিসেবে চাকুরিতে যোগ দেন।

যাবার আগে আনাস একটি চিরকূট লিখে যায়। তাতে সে লেখে ‌‌’আম্মু আমি চলে যাচ্ছি। আমাকে তোমরা ক্ষমা করে দিও। আমার কাছে বাসা থেকে চলে যাওয়া ছাড়া আর কোন রাস্তা ছিলো না। রেজাল্ট জানি না কি হবে। তবে এটা নিশ্চিত যে জিপিএ ৫ আসবে না। সব দোষ আমার।

এদিকে আনাস চলে যাবার পরদিন তার বড় ভাই বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। কিন্তু তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ থাকায় এবং আর কোন ক্লু না পাওয়ায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে পারছিলো না।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার এসএসসির ফল প্রকাশ হলে আনাস তার মোবাইল চালু করে। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তার সন্ধান পায়।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ। পূর্বকোণকে বলেন, তার পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি দায়েরের পর থেকে আমরা তার সন্ধানে কাজ করছিলাম। বৃহস্পতিবার পরীক্ষার ফলাফলের পর সে তার মোবাইল ফোন চালু করলে আমরা তার সন্ধান পাই। শেষে রবিবার সকালে আমরা রংপুর থেকে তাকে উদ্ধার করে এনে বিকালে পরিবারের হাতে তুলে দিই।

 

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট