চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

৪৪ স্পটে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে চসিকের অনিয়ম তদন্তে দুদক

বরাদ্দ দিয়েই দায় শেষ চসিকের!

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২৭ ডিসেম্বর, ২০২১ | ১:১৯ অপরাহ্ণ

অস্থায়ী ভিত্তিতে নগরীর ৪৪টি স্পটে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। চুক্তি অনুযায়ী সৌন্দর্যবর্ধন করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বছর হিসেবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নির্দিষ্ট অর্থ জমা দেয়ার কথা।

কিন্তু অর্থ জমা দিলেও নকশা বহির্ভূত কাজ করার পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধনের নামে ফুটপাত দখল করার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে। অথচ এ অনিয়মের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি সিটি কর্পোরেশন। চসিকের নীরবতার মধ্যেই এবার এসব অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের যাবতীয় নথিপত্র সংগ্রহ করেছে দুদক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৌন্দর্যবর্ধনের নামে অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়ে দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬-এ। যেখানে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের কথা আনা হয়। এ নিয়ে গতকাল রবিবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাঈদের নেতৃত্বে একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তারা চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও  প্রধান পরিকল্পনাবিদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল্লাহ আল ওমর এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি জব্দ করেন এ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি।

দুদক জানায়, চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ প্রকল্পটি সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত কোন প্রকল্প নয় বলে জানান। প্রকল্পটির টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রায় তিন বছর আগে সম্পন্ন হয় বলেও দুদককে অবহিত করেন তারা। কিন্তু বর্তমান মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পর এ বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করেছেন বলে  চসিকের সংশ্লিষ্টরা দুদকের কাছে উল্লেখ করেন ।

দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬- এ প্রেরিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয় উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, আমরা অভিযোগ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া তথ্য উপাত্তও সংগ্রহ করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন থেকে আমাদের বলা হয়েছে, বছর শেষে একটি নির্দিষ্ট অর্থ কর্পোরেশনের কোষাগারে জমা দেওয়া সাপেক্ষে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কমিশনকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

দুদক সূত্রের অভিযোগ, ৪৪টি স্পটে বরাদ্দ দেয়া স্থানগুলোতে একটি প্রতিষ্ঠানকে একাধিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া নকশা অনুসারে যেভাবে কাজ করার কথা ছিল, সেটি কেউ মানেনি। কিন্তু এ নিয়ে চসিকের পক্ষ থেকেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট