চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

ত্রুটিপূর্ণ ‘প্যারাসিটামল’ ফেরত পাঠালো লেবানন

সারোয়ার আহমদ 

২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ১২:৪১ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া প্রায় সাড়ে ১৭ টন প্যারাসিটামল (টেমেন সিরাপ) ফেরত পাঠিয়েছে লেবানন। আবহাওয়াজনিত কারণে রপ্তানি চালানে প্যারাসিটামল সিরাপে ত্রুটি পাওয়ায় সেগুলো ফেরত পাঠানো হয়। ত্রুটিযুক্ত এসব সিরাপ ধ্বংসের জন্য সুনামগঞ্জে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। 

চট্টগ্রাম কাস্টমস ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের স্বনামধন্য ওষুধ কোম্পানি স্কেপ ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে সম্প্রতি ১৭ হাজার ৫শ ৭৯ কেজি সিরাপ আমদানি করে লেবাননের একটি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে সেই চালানে কিছু ওষুধে ত্রুটি পাওয়ায় পুরো চালানই ফেরত পাঠানো হয়। পানামার পতাকাবাহী কনটেইনার জাহাজ তাইচুং যোগে কনটেইনার দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে ফেরত আসে। এসব ওষুধ ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সেই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে পণ্য ধ্বংসে গঠিত কমিটির সভা চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সরকারি আট দপ্তর অর্থাৎ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন্দর, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সভা প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (নিলাম শাখা) মো. আল আমিন পূর্বকোণকে বলেন, লেবানন থেকে ফেরত আসা প্যারাসিটামলের চালানটি ধ্বংস করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্যারাসিটামলের চালানটি ধ্বংস করার জন্য সুনামগঞ্জে অবস্থিত লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কারখানার জিও সাইকেল প্রকল্পে পাঠানা হবে। লাফার্জ হোলসিমের সাথে স্কেপ ফার্মাসিউটিক্যালসের নিজেদের মধ্যেও চুক্তি আছে। তাই এই কেমিক্যাল ধ্বংস করতে খুব একটা বেগ পোহাতে হবে না। শুধু দুই-এক দিনের মধ্যে দিনক্ষণ ঠিক হলে এবং গাড়ির ব্যবস্থা হলেই চালানটি সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে।

ডেপুটি কমিশনার মো. আল আমিন আরো বলেন, এই চালানের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের পি সেডে থাকা আরো প্রায় ৮ টন কেমিক্যালও ধ্বংসের জন্য একই জায়গায় পাঠানো হবে। সে ব্যাপারেও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০২০ সালে ডিসেম্বরেও চট্টগ্রাম কাস্টমসের উদ্যোগে বন্দর থাকা বিপজ্জনক ৫৯ টন পণ্য সিলেটের সুনামগঞ্জে পাঠানো হয় ধ্বংসের জন্য। তারও আগে ২০১৯ সালে ১৮ ডিসেম্বর ধ্বংস করা হয় ১৯৪ কনটেইনারের ৪ হাজার ৮০৭ টন পণ্য। এ কাজের মাধ্যমে খালি হচ্ছে বন্দরের অভ্যন্তরের বিপুল জায়গা। ফলে কাজে গতি পাচ্ছে বন্দর।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট