চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদের সভা

ডিসেম্বরের আগেই সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ১২:৪১ অপরাহ্ণ

নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদের সভায় নগরীর ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে সম্মেলন করার প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের আগেই ইউনিট, ওয়ার্ড, থানা সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও ১৫টি থানাকে সাংগঠনিকভাবে গতিশীল করার জন্য গত ২০ ও ২১ জুন সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনামূলক মতবিনিময় সভার পদক্ষেপ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত হয়। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে প্রতিটি ওয়ার্ডে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন শেষে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন করা হবে। দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অনেক প্রতিকূলতা ও বিপর্যয় পেরিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নিজের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছে। আমরা অনেক সংকট মোকাবেলা করে যে অবস্থানে আছি তা যেন আত্মকলহ ও বিবাদে বিলীন না হয়। কোন ওয়ার্ডে কোন বিতর্কিত ব্যক্তিকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকলে তারা সদস্য পদ পাবে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে স্থানীয় নেতৃত্বকে সতর্ক থাকতে হবে। নিজের বলয় ভারী করার জন্য অনুপ্রবেশকারীদের দুয়ার যদি কেউ খুলে দেয় তাদের বিরুদ্ধে ও কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। তাই দলের গণভিত্তিই হলো আমাদের মূল শক্তি। এই শক্তিকে অধিকতরভাবে সুসংহত করতে হলে নিজেদের মধ্যেই আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে যা সত্য এবং অনিবার্য তাকে মেনে নেওয়ার মানসিকতা অর্জন করতে হবে। সদস্য অন্তভূক্তি ও নবায়নে যারা ইতোপূর্বে বই নিয়েছিলেন সেসব বইয়ের মুন্ডা আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কার্যালয়ে অবশ্যই জমা দিতে হবে। যারা বই ও মুন্ডা জমা দেবেন না তাদেরকে নতুনভাবে সদস্য গ্রহণ ও নবায়ন বই দেয়া হবে না।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত আগামী ১১ সেপ্টেম্বর নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হবে। তবে তার আগে কয়েকদিনের মধ্যে সভাপতিম-লীর সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে। তার মাধ্যমেই সম্মেলনের রূপরেখা তৈরি করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে সিআরবি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর রোল মডেল। বিশ্বে তার ভাবমূর্তি তুঙ্গে। কিন্তু অত্যন্ত লজ্জাজনকভাবে আমাদের কেউ কেউ সিআরবি নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কামনা করি না। যেখানে নেত্রীর অনুমোদন আছে, কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত আছেন, সেখানে দলীয় কর্মী হিসেবে নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ আমাদের নেই। সিআরবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত। যারা দলীয় নেত্রীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখছেন তারা দলের ভিত দুর্বল করছেন। কারণ এটি সংগঠনবিরোধী বক্তব্য। হাসপাতাল হচ্ছে গোয়ালপাড়ায়। শিরিষতলায় হচ্ছে না। গোয়ালপাড়াকে শিরিষতলা বানানো হচ্ছে। সভাশেষে নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দকে বলেন, নেত্রীকে ভুল বুঝিয়ে সিআরবি’তে হাসপাতালের অনুমোদন নেয়া হয়েছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. সুনীল সরকার, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আবদুচ ছালাম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, মো. হোসেন, জহুর আহমদ, জালাল উদ্দিন ইকবাল, জোবায়েরা নার্গিস খান, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, শহীদুল আলম, জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য এম.এ.জাফর, আবুল মনসুর, নুরুল আবছার মিয়া, গাজী শফিউল আজিম, সৈয়দ আমিনুল হক, প্রকৌশলী বিজয় কিষাণ চৌধুরী, পেয়ার মোহাম্মদ, জাফর আলম চৌধুরী, এড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, মহব্বত আলী খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, আবদুল লতিফ টিপু, ড. নেছার উদ্দিন মনজু, বেলাল আহমেদ, মোর্শেদ আকতার চৌধুরী প্রমুখ।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট