চট্টগ্রাম কাস্টমসে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নিলামে ৮৫লট পণ্যের বিপরিতে দরপত্র জমা পড়েছে ১৭০টি। এর মধ্যে চট্টগ্রামে জমা পড়ে ১৫৮টি এবং ঢাকায় ১২টি। চলতি বছরে এটি চট্টগ্রাম কাস্টমসের ১৪ নম্বর নিলাম। এর দরপত্র বিক্রি শুরু হয়েছিল গত ৮ আগস্ট। ৮৫ লট পণ্যের এই নিলামে ১৭ লটেই ছিল বিভিন্ন ধরনে কাপড়। এছাড়া ছিল লবঙ্গ, জুতা, কমলা, মাল্টা, ড্রাগন ফল, গার্মেন্টসের কাঁচামাল, গার্মেন্টস সিকিউরিটি ট্যাগ, ফিনিশিং এজেন্ট, হাইড্রোলিক এসিড, ব্যাটারি, ওয়াশিং কেমিক্যাল, ডায়েসিড (এসিড পণ্য), প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, টেক্সটাইল পণ্য, সালফিউরিক এসিড, রিবন ম্যাশ কোর্ট, প্লাস্টিক বোতল, টেক্সটাইল ক্যামিকেল, ইলেকট্রিক এয়ার পাম্প, ব্র্যান্ড ফেজার লিফট, প্রিন্টিং পেপার, থান কাপড়, রঙের গুড়া, রোবোটেক গ্রাপল, কিচেন রেক, পুস্তক, জিংক অক্সাইড, মেটাল ফ্রেম, এলইডি ল্যাম্প, এনগুলার উইন্ডো সেন্টার মেশিন, চুন, গ্লিসারিন, লবঙ্গ, আঠা, ট্রান্সফরমার ওয়েল, ক্রাফট লিনার পেপার, টাইলস, ডেন্টাল এক্সেসরিজ, হ্যান্ড গ্লোব, যন্ত্রপাতি, কাঠসহ বিভিন্ন পণ্য। নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মোরশেদ জানান, করোনার কঠোর লকডাউন শিথিল হওয়ার পর এটিই প্রথম নিলাম। নিলামে বিডাররা অনেকেই অংশগ্রহণ করেছেন এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ দর দিয়েছেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলে মোট ১৭০টি দরপত্র জমা পড়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর আড়াইটায় কাস্টমসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার আল আমিন ও বিডারদের উপস্থিতিতে নিলামের বক্স খোলা হয়েছে। সবগুলো দরপত্র পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ দরদাতা সনাক্ত করা হবে। প্রসঙ্গত, অনেক দেশিয় আমদানিকারক বিদেশ পণ্য আনার পর বিভিন্ন কারণে পণ্য খালাস করেন না। এছাড়া অনেকে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি করে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেন। তবে কাস্টমসের কায়িক পরীক্ষায় জালিয়াতি ধরা পরে যায়। ওইসব কনটেইনার নিয়মনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে এসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।
পূর্বকোণ/এএ