চট্টগ্রাম সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

একা কোরবানি দেওয়া হলো না ফটিকছড়ির জিকুর

এস এম মোরশেদ মুন্না, নাজিরহাট

১৫ জুলাই, ২০২১ | ১২:০৯ অপরাহ্ণ

‘মা, আমি এবার একাই কোরবানি দিবো। তুমি কোরবানির গরু কিনোনা। আমি এসে কিনবো। খুব সম্ভব ১৬ তারিখ হতে ফ্লাইট খুলবে, আমি বিশেষ ফ্লাইটে হলেও আসব। তুমি, বাবুনিদের জন্য খুব মন জ্বলছে। আর থাকতে পারছিনা মা…’
মৃত্যুর সংবাদ পাবার দুইদিন আগে এইভাবে মায়ের সাথে কথা হয়েছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি প্রবাসী জিয়া উদ্দিন জিকুর (৩০) সাথে। গত ১৩ জুলাই মধ্যরাতে জিকুর মৃত্যুর সংবাদটি পায় তার পরিবার। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলা ধর্মপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের অলি মোহাম্মদ বাড়ির মৃত আব্দুর শুক্কুরের একমাত্র ছেলে। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত জিকু ছিলো দুই কন্যা সন্তানের জনক। ছোট এক বছরের বাচ্চাটিকে তার এখনো দেখা হয়নি। যাওয়া-আসা মিলে আনুমানিক ৯/১০ বছর প্রবাস জীবনে তিনি চাকরি পরবর্তী ব্যবসা করতেন। গত দেড় বছর আগে সর্বশেষ দেশ হতে ঘুরে যান। আবুধাবির প্রাণকেন্দ্র জোয়াজাত রোডের পাশে থাকতেন। আবাসস্থলের সামান্য অদূরে রাস্তার পাশে কে বা কারা জিকু’কে মেরে রাস্তায় ফেলে যায়। গত ১২ জুলাই রাতে আবুধাবির সিআইডি পুলিশ রাস্তার পাশ থেকে জিকুর নিথর দেহ উদ্ধার করে নিজেদের জিম্মায় নেয়। পুলিশ নিহতের মোবাইল কল তালিকা থেকে তার এক বন্ধুকে ফোন করে ডেকে নিয়ে লাশ শনাক্ত করে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মধ্যরাতে জিকুর পরিবার তার মৃত্যুর সংবাদটি পায়। কেন, কী কারণে, কারা এই নির্মম হত্যাকা- ঘটিয়েছে এই ব্যাপার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য দিতে পারেনি তার পরিবার। এদিকে পরিবারের একামাত্র কর্তাকে হারিয়ে শোকে কাতর তার পরিবার, চলছে শোকের মাতম। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও খুব সরব দেখা গেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম জানান, নিহত জিকুর পরিবার সম্পর্কে আমি জানি। সে ছিলো পরিবারের একমাত্র সন্তান, অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, মার্জিত একটা ছেলে। তার মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুর কারণ এখনো সু-স্পষ্ট নয় বলে তিনি জানিয়েছেন।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট