চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

গণটিকার কর্মযজ্ঞ ফের শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ জুলাই, ২০২১ | ১২:০৩ অপরাহ্ণ

প্রায় দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে পুনরায় শুরু হচ্ছে নতুন করে গণটিকা কার্যক্রম। এর মাধ্যমে শহর-গ্রাম নির্বিশেষে ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোন নাগরিক করোনাভাইরাস প্রতিরোধের টিকা নিতে পারবেন। ইতোমধ্যে সকল উপজেলা ও নগরীর প্রতিটি কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে করোনার প্রতিরোধের টিকা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত চলমান থাকবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূর্বের মতো ১৪ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নগরীর ১১টি কেন্দ্রে চলবে টিকাদান কার্যক্রম। এরমধ্যে এরমধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যুক্তরাস্ট্রের মডার্নার আর উপজেলায় দেয়া হবে চীনের সিনোফার্মের টিকা। তবে এবার এসএমএস ছাড়া কাউকে টিকা দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, টিকা দেয়ার জন্য আগের মতই সুরক্ষা এ্যাপের মাধ্যমে ৩৫ বছর এবং এর বেশি বয়সী যে কোন বাংলাদেশি নাগরিক নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধনের পর এসএমএস দেয়া হবে এবং তারপর নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে হবে। টিকার ক্ষেত্রে কেউ কেন্দ্র পরিবর্তন করাতে পারবে না। কিংবা এসএমএস ছাড়া টিকা নিতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, সোমবার প্রতিটি উপজেলার জন্য টিকা পাঠানো হয়েছে। একই সাথে সিটি কর্পোরেশন এলাকার কেন্দ্রগুলোতেও পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও চসিক ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, আগের মতোই নগরীর ১১টি কেন্দ্রে টিকাদান কর্মযজ্ঞ চলবে। অতীতে এসএমএস না পেয়ে অনেকেই টিকা গ্রহণ করেছেন, তবে এবার সেই সুযোগ নেই। এসএমএস দেখাতে না পারলে বা ছাড়া কেউ আসলে টিকা দেয়া হবে না।

কেন টিকা নিবেন : বিশেষজ্ঞের মতে, একটা দেশের ৭০ শতাংশ জনগণ যদি টিকার আওতায় চলে আসে, তাহলে এ রোগ খুব সহজেই প্রতিরোধ হয়ে যায়। ফলে পরবর্তীতে কোন ধরনের মেডিসিনের প্রয়োজন হয় না। একই সাথে টিকা দেয়ার মাধ্যমে সংঘবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে ভাইরাস থেকে মুক্ত হতে পারবো। এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছে তাদের মধ্যে কোন ধরনের পাশর্^প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। স্বাভাবিক কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই সকলের টিকা নেয়া উচিত।

নগরীর ১১ কেন্দ্র : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, সিটি কর্পোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল, চসিকের বন্দরটিলা হাসপাতাল, চসিক মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতাল, চসিক ছাপা মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল, চট্টগ্রাম পুলিশ হাসপাতাল, সেনানিবাস, নৌ-বাহিনী হাসপাতাল এবং বিমান বাহিনী হাসপাতাল।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট