চট্টগ্রাম সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

সন্ধ্যার পর এক ‘অচেনা’ নগরী

নিজস্ব প্রতিবেদক 

৪ এপ্রিল, ২০২১ | ১২:৪৭ অপরাহ্ণ

সন্ধ্যার শীতল হাওয়ায় কেনাকাটা করতে মার্কেটে মার্কেটে ভিড়, কেনাকাটা শেষে রেস্টুরেন্টে পরিবার নিয়ে খাওয়া কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে খোলা জায়গায় বসে মন খুলে আড্ডা। একদিন আগেও এই সময়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চেনা চিত্র ছিল এটি। তবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একটি গণবিজ্ঞপ্তির কারণে গতকাল শনিবার পাল্টে যায় চেনা এ দৃশ্য। প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে ওষুধ ও মুদির দোকান এবং কাঁচাবাজার ছাড়া সব ধরনের দোকান, রেস্টুরেন্ট, আড্ডা বন্ধ করে দেওয়ায় ‘নিরব’ হয়ে যায় পুরো বন্দরনগরী।

গত শুক্রবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে ওষুধ ও মুদির দোকান এবং কাঁচাবাজার ছাড়া সব ধরনের দোকান, রেস্টুরেন্ট ৩ এপ্রিল থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টার পর বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা মেনে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে দোকান ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিষয়টি তদারকিতে মাঠে নামেন জেলা প্রশাসনের ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তাদের অভিযানে সন্ধ্যা ৬টার পরেও বন্ধ না করায় কয়েকজন দোকানিকে জরিমানা করা হয়।

গতকাল সন্ধ্যার পর নগরীর ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড়, ওয়াসা মোড়, কাজীর দেউড়ি, রেয়াজুদ্দিন বাজার, নিউমার্কেট এবং টেরিবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সন্ধ্যা ৬টার পর দোকান ও রেস্টুরেন্ট বন্ধের চিত্র দেখা গেছে। তবে ওয়াসা এলাকায় দুইটি রেস্টুরেন্টে শাটার অর্ধেক বন্ধ রেখে ভেতরে খাবার বিক্রির অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, জনসমাগম কমিয়ে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ডিসি স্যার সন্ধ্যা ৬টার পর ওষুধ ও মুদির দোকান এবং কাঁচাবাজার ছাড়া সব ধরনের দোকান, রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা শনিবার থেকে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট