চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

টিসিবি: বাড়তি দামেই দীর্ঘ লাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২ এপ্রিল, ২০২১ | ১:৫৫ অপরাহ্ণ

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য তালিকায় গতকাল থেকে নতুন যুক্ত হয়েছে রোজা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছোলা। তবে খেজুরের কথা থাকলেও তা ছিল না। এ নিয়ে এখন পণ্য তালিকায় রয়েছে ছোলা, চিনি, মশুর ডাল, সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজ। বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়তির পর এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের বড় ভরসা হচ্ছে টিসিবি।

টিসিবি চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, ‘ভোগ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে টিসিবি মাঠে রয়েছে। রমজানে পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী দুইটি কেন্দ্র বাড়িয়ে এখন ২২টি করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে। আগামী ৬ মে পর্যন্ত পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি।’

টিসিবি জানায়, প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি করা হবে ৫৫ টাকা দরে। একজন ভোক্তা দুই কেজি পর্যন্ত ছোলা কিনতে পারবেন। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা দরে। মশুর ডাল ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একজন ভোক্তা দুই কেজি করে চিনি ও মশুর ডাল কিনতে পারবেন। বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটারপ্রতি একশ টাকা দরে। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ৫ লিটার পর্যন্ত কিনতে পারবেন। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২০ টাকা দরে। একজন ভোক্তা ৫ কেজিতে পর্যন্ত পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।

সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি গতকাল থেকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বেড়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আরো ১০ টাকা কমে সয়াবিন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। চিনিতে কেজিপ্রতি ৫ টাকা করে দাম বাড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে মশুর ডাল ৫০ টাকা ও পেঁয়াজ ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

টিসিবি গতকাল থেকে ৮০ টাকায় খেজুর বিক্রির কথা ছিল। বিক্রয়কেন্দ্রে টাঙানো ব্যানারেও খেজুর বিক্রির কথা লেখা ছিল। তবে ট্রাকে খেজুর ছিল না। রমজান শুরুর আগেই ট্রাকে খেজুর দেওয়া হবে বলে জানান টিসিবি’র উপ-পরিচালক জামাল উদ্দিন।

দেখা যায়, নগরীর জামালখান এলাকায় ভোক্তারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছে পণ্য কেনার জন্য। করোনার সংক্রমণের কারণে পণ্য বিক্রি শুরু থেকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলায় জোর দিয়েছে বিক্রয়কর্মীরা। রাস্তায় রিকশার চাকা দিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, কম চাহিদার পণ্য না নিলে বেশি চাহিদা পণ্য বিক্রি করছে না ডিলারের বিক্রয়কর্মীরা। এতে বিপাকে পড়ছেন কম আয়ের লোকজন। শুধু জামালখানে নয়, বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে একই চিত্র দেখা যায়।

টিসিবির আঞ্চলিক প্রধান জামাল উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, প্রতিটি ট্রাকে ৪শ কেজি ছোলা, ৮শ কেজি চিনি, ১২শ লিটার সয়াবিন তেল, ৬শ কেজি মশুর ডাল, ১ টন পেঁয়াজ দেওয়া হয়েছে। সব মিলে এক ট্রাকে ৪ টন ভোগ্যপণ্য দেওয়া হচ্ছে।

টিসিবি জানায়, মহানগরীর ৫৪ জন ডিলার রয়েছে। প্রতিদিন পালাক্রমে ২২টি ট্রাকে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান জামাল উদ্দিন জানান, টিসিবি মানুষের সেবা করার জন্য মাঠে রয়েছে। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহে ৬ দিন পণ্য বিক্রি করা হবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট