চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

সীমিত আকারে খেলাধুলা শুরু করার অনুমতি

কী ভাবছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা!

দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু

১৭ আগস্ট, ২০২০ | ১:৪০ অপরাহ্ণ

সীমিত আকারে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেলাধুলা এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করার অনুমতি পাওয়া গেছে।
দীর্ঘ বিরতির পর সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়েছে। তবে এ জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া ১০ শর্ত শতভাগ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত ১৬ মার্চ দেশের সব খেলা বন্ধের ঘোষণা আসে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে। এরপরে কেটে যায় বেশ কয়েকটি মাস।
তবে এই অনুমতির ব্যাপারে কোন চিঠি চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় গত শুক্রবার পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি। সংস্থার অফিস সচিব এ কথা জানিয়েছেন। তবে, অন্যকথা বলেছেন, সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম। তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে কোন চিঠি দেয়া হয়নি। ঢাকায় সিদ্ধান্ত হয়েছে মানেই সেটাকেই অনুমতি হিসেবে ধরে নিতে হবে।
এর ফলে, এ মুহূর্তে কী ভাবছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোন কোন ইভেন্ট শুরু করা যায়। এই যেমন ক্যারম, টেবিল টেনিস, ভলিবল, আরচ্যারি, দাবা, বডিবিল্ডিং ও ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি। জনাব শাহাবুদ্দিন শামীম এগুলোর সাথে আরো যোগ করে বলেন, ইচ্ছে করলে ক্রিকেটও শুরু করা যায়। এখানেও কোন বডি কন্ট্রাক্ট নেই। সাঁতারও এরমধ্যে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এখনো এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় নেয়া হয়নি। আগামী ৫/৬ দিনের মধ্যে বসে আমরা ভাল কিছু করার চেষ্টা করবো।
তবে, জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজন করতে চাইলেতো হবে না। ক্লাবগুলোকে খেলার জন্য রাজি থাকতে হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে আঘাতটা সর্বক্ষেত্রে হয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনও তার বাইরে নয়। ব্যবসায় বড় ধরনের ধস নেমেছে। ক্লাব কর্মকর্তারা কেউ-ই শান্তিতে নেই। তাছাড়া টুর্নামেন্টের জন্য স্পন্সর খুঁজে পাওয়া এ মুহূর্তে কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভর্তুকি দিয়েই চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হতে পারে। এরপরও ক্লাবগুলোকে রাজি করাটাই হচ্ছে আসল ব্যাপার। কেননা, যে কোন টুর্নামেন্টে অংশ নিতে গেলে ক্লাবগুলোকে টাকা খরচ করতে হয়। এছাড়া শিরোপার জন্য লড়াই করতে গেলে অনেকাংশে বেড়ে যায় খরচের পরিমাণ।
এবারে ১০টি শর্ত নিয়ে আলোচনা করা যাক। খেলাধুলা শুরুর আগে খেলার মাঠ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালুর পূর্বে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রতিরোধক সরঞ্জাম মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নন-কন্ট্যাক্ট ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করে মাঠে ঢোকাতে হবে। যাদের শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৪ ফারেনহাইটের বেশি হবে, তাদের মাঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। সন্দেহভাজন কোন করোনা রোগী থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। দর্শকদের মাঠে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি দুইজন দর্শকদের মাঝে এক সিট খালি রাখতে হবে।
তারও আগে খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, আয়োজক কমিটি এবং খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট সকলের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ক্যাম্প শুরুর পূর্বে সকলের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে নিলে আর কোন ভয়ের শংকা থাকবে না। এ সময় পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজার রেখে খাওয়া দাওয়ার পর ব্যবহৃত থালা বাসন পরিষ্কার ও জীনাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে ওয়ানটাইম প্লেইট ও গ্লাস ব্যবহার করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের ঝামেলাটা আপাতত নেই।
পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট