
একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। এবার ভরিতে ৩ হাজার ৬৬৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৯ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। যা দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এ তথ্য জানিয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বাড়ায় সার্বিক স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৯ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪২৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২২ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করে ভরিতে ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। যা এতদিন ছিল দেশের বাজারে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে।
স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সঙ্গে এবার বাড়ানো রয়েছে রুপার দামও। ভরিতে ১৫২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৬২৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৫৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৯৬৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ২২৮ টাকা।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৫৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৪০ বার, আর কমেছে মাত্র ১৭ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
পূর্বকোণ/পারভেজ