চট্টগ্রাম শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

রোজা যেসব কারণে মাকরুহ হয়, যেসব ত্রুটি পরিহার করা কর্তব্য

রায়হান আজাদ

১৪ মার্চ, ২০২৫ | ১২:১০ অপরাহ্ণ

যে সমস্ত কাজ করলে সিয়াম মাকরুহ হয়ে যায় তা হলো-

 

১. অজুর সময় গড়গড়া করে কুলি করা, জোর দিয়ে নাকে পানি টানা।

২. বিনা প্রয়োজনে খাদ্যের স্বাদ দেখা; তবে প্রয়োজন হলে দেখতে পারে।

৩. থুথু, কফ মুখে জমিয়ে গিলে ফেলা; অল্প অল্প থুথু গিলে ফেললে কোন অসুবিধা নেই।

৪. যৌন অনুভূতি নিয়ে স্ত্রীকে চুম্বন বা আলিঙ্গন করা, বার বার তার দিকে তাকানো, বার বার সহবাসের কল্পনা করা।

৫. বিনা প্রয়োজনে কোন নারী স্বীয় বাচ্চাকে রোজা অবস্থায় খাদ্য চিবিয়ে দেয়া।

 

কতিপয় ভুলত্রুটি পরিহার করে চলা সকল রোজাদারেরই কর্তব্য। তা হলো-

 

১. ফরজ রোজার জন্য রাতে বা ফজরের পূর্বে নিয়ত না করা; যদিও পূর্ণ রমজান মাসের জন্য প্রথমে একবার নিয়ত করাই যথেষ্ট।

২. ফজরের আজানের সময় অথবা আজানের পরে পানাহার করা; যদিও কোন কোন মুয়াজ্জিন কখনও সতর্কতামূলকভাবে কিছু সময় পূর্বেই আজান দিয়ে থাকেন।

৩. ফজরের এক বা দুই ঘণ্টা পূর্বেই সেহরি খাওয়া।

৪. এ মাসে অধিকাংশ মানুষ খাদ্য ও পানীয় অপচয় এবং বাড়াবাড়ি করে থাকেন।

৫. জামায়াতের সাথে নামাজ আদায়ের বিষয়ে অবহেলা ও শিথিলতা।

৬. রোজার দিন ও রাতে জিহ্বাকে মিথ্যা বলা, প্রতারণা, গিবত, পরনিন্দা এবং অপবাদ ও চোগলখোরি থেকে হেফাজত না করা।

৭. মূল্যবান সময়কে খেলাধুলায়, আমোদ-প্রমোদে, তামাশা ও কৌতুকে এবং ফিল্ম, চলচ্চিত্র ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান দেখে অপচয় করা; তর্ক ও বাদানুবাদে কিংবা রাস্তায় রাস্তায় অনর্থক ঘুরে বেড়িয়ে সময়ের কদর না করা।

৮. রমজান মাসে বিভিন্ন আমলের গুরুত্ব নিয়ে অবহেলা করা।

৯. জামায়াতের সাথে তারাবির নামাজ ত্যাগ করা; অথচ এ বিষয়ে হাদিসে যথেষ্ট উৎসাহ দেয়া হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ইমামের সাথে শেষ পর্যন্ত কিয়ামুল লাইল (তারাবি) আদায় করে তার জন্য সমস্ত রাতে ইবাদত সম্পাদন করার সওয়াব লিখে দেয়া হয়।’

১০. রমজানের শেষ দশকের কিয়ামুল লাইল ছেড়ে দেয়া, যা শেষ দশকের বিশেষ বৈশিষ্ট। ‘রমজানের শেষ দশক উপস্থিত হলে নবী করিম (সা.) নিজে রাত জাগতেন, পরিবারের সদস্যদেরকেও জাগাতেন এবং নিজের লুঙ্গি শক্ত করে বেঁধে নতুনভাবে ইবাদতে আত্মনিয়োগ করতেন।’

১১. ফজরের নামাজ না পড়ে ঘুমিয়ে যাওয়া।

১২. ধন-সম্পদে কার্পণ্য করা এবং রমজান মাসে অভাবী ও দরিদ্রের সংখ্যা অধিক থাকার পরও তাদেরকে দান-খয়রাত করা থেকে বিরত থাকা।

১৩. অনেকে মালের জাকাত আদায় করার ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে অমনোযোগী ও বেখেয়াল থাকেন; অথচ জাকাত হলো নামাজ ও রোজার সমমর্যাদা সম্পন্ন ফরজ।

১৪. রোজা থাকাবস্থায় দোয়া করা থেকে গাফিল বা অন্যমনস্ক হওয়া। বিশেষ করে খাদ্য ও পানীয় নিয়ে ইফতার করার সময়। অথচ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘রোজাদারের ইফতারের সময়ের দোয়া ফেরত দেয়া হয় না।’

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট