চট্টগ্রাম সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

রামগড় স্থলবন্দর: দেশের লাভ নির্ণয়ের পর চালুর সিদ্ধান্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, রামগড়

১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের লাভ কতটুকু হবে তা নির্ণয়ের পর রামগড় স্থলবন্দর চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

রবিবার (১২ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

 

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, রামগড় স্থলবন্দর চালুর বিষয়ে ২-৩ দিনের মধ্যে কমিটি গঠন করা হবে। তারা রামগড় পরিদর্শন, পর্যবেক্ষণে এসে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লাভ-ক্ষতি খতিয়ে দেখবে। বিশেষ করে এই বন্দর চালু হলে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হবে কীনা, লোকজন কত যাবে, রাজস্ব আয় কী পরিমাণ হবে ইত্যাদি দেখে কমিটি মতামত জানাবে। তাদের এ মতামতের ওপর ভিত্তি করে রামগড় স্থলবন্দর চালুর সিদ্ধান্ত হবে।

 

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে রামগড় স্থলবন্দরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মালামাল ভারতে নিয়ে যাওয়া যাবে। এ জন্য তারা সাব্রুমে রেলপথও স্থাপন করেছে। এ রেলের মাধ্যমে পণ্যের কনটেইনার বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যাবে। কিন্তু এতে বাংলাদেশের কী লাভ হবে, তা দেখতে হবে। এটা এসেসমেন্ট করার জন্য ২-৩ দিনের মধ্যে কমিটি গঠন করবো। কমিটি দেখার আগে আমি সরেজমিনে দেখে গেলাম।

 

উপদেষ্টা আরও বলেন, রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে। এতে ভারতের লোন আছে, বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের টাকা আছে।

 

রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, যতগুলো বন্দর পরিদর্শন করেছি, তারমধ্যে রামগড় বন্দরের কাজ দ্রুতগতিতে হয়েছে। ছয় মাস-এক বছরের মধ্যে অনেক কাজই করা হয়ে গেছে।

 

রামগড় স্থলবন্দর, তথা মৈত্রীসেতু বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন।

 

ফেনী নদী থেকে ভারত অবৈধভাবে পাম্প মেশিন বসিয়ে একতরফাভাবে পানি তুলে নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। ভারত শুষ্ক মৌসুমে পানি নিচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত অভিযোগ পেলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে পারবো।

 

রবিবার দুপুর একটার দিকে উপদেষ্টা প্রথমেই ফেনী নদীর ওপর ভারতের নির্মিত মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করেন। পরে স্থলবন্দরের উন্নয়ন কাজ পর্যবেক্ষণ করেন। পরিদর্শন শেষে রামগড় ইমিগ্রেশন ভবনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

 

এসময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মানজারুল মান্নান, রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. সরওয়ার আলম, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, বিজিবির গুইমারার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এসএম আবুল এহসান, রামগড় ৪৩ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর নূর ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট