কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটিতে ৭২ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) কাজাখস্তানের জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ জানায়, বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। তবে ঘন কুয়াশার কারণে এটি পথ পরিবর্তন করে বিকল্প রুটে চলছিল। সে সময় পশ্চিম কাজাখস্তানের আকতাউ বিমানবন্দরের কাছে এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়।
কাজাখস্তানের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্কাই নিউজের খবরে আরও বলা হয়েছে, বুধবার আকতাউ শহরের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া ওই উড়োজাহাজের আগুন নিভিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা। সেখান থেকে অন্তত ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও বহু মানুষ হতাহতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তবে কাজাখস্তানের জরুরি পরিষেবাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, ৬২ জন যাত্রী বহনকারী উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে ভূমিতে পড়ার পর তাতে আগুন ধরে যায়। জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্মীরা সেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে উড়োজাহাজটি থেকে ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬৭ জন যাত্রী এবং পাঁচজন ক্রু ছিলেন ওই এমব্রায়ার-১৯০ উড়োজাহাজে। সেটি মাটিতে আছড়ে পড়ার পর বিস্ফোরণে অগ্নিগোলক তৈরি হয় এবং কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।
কাজাখস্তানের জরুরি সেবা বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছেন এবং বেঁচে যাওয়া আরোহীদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজারবাইজান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ফ্লাইট জে২-৮২৪৩ বাকু থেকে গ্রোজনিতে যাচ্ছিল। কিন্তু কাজাখস্তানের আকতাউ বিমানবন্দরের তিন কিলোমিটার দূরে সেটি জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেছিল।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, কুয়াশার কারণে যাত্রাপথ পরিবর্তন করেছিল উড়োজাহাজটি। পরে আকতাউ বিমানবন্দরের কাছে সেটি বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজটি ঠিক কী ধরনের সমস্যায় পড়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কাজাখ কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করেছে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ