মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে আয়োজিত হচ্ছে একটি হাফ ম্যারাথন। ‘রান ফর হিরোস অফ আওয়ার ভিক্টোরি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী ২৮ ডিসেম্বর এই ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই ম্যারাথনের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি কক্সবাজারের সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরা হবে।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের ভাঙ্গার মুখ থেকে ইনানী পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দূরত্ব জুড়ে এই হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।
ম্যারাথনে যা যা থাকবেঃ
ম্যারাথনে অংশগ্রহণের জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। গণমাধ্যমে প্রচারিত লিঙ্কের মাধ্যমে সহজেই রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এই ম্যারাথনে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। দেশি-বিদেশি সকল দৌড়বিদই এই ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ম্যারাথন সম্পূর্ণ করার জন্য সর্বোচ্চ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ ঘণ্টা। সময়ের মধ্যে দৌড় শেষ করা প্রতিযোগীরা আকর্ষণীয় টি-শার্ট, ফিনিশার মেডেল এবং ই-সার্টিফিকেট পাবেন। ম্যারাথন রুটে বিভিন্ন পয়েন্টে সেবাবুথ, পানি এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা থাকবে।
ম্যারাথনের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য বিস্তৃত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ম্যারাথন রুটে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং মেডিকেল টিম সার্বক্ষণ উপস্থিত থাকবে। ম্যারাথনের শুরু ও শেষ পয়েন্টে বিশেষ সাজসজ্জা ও মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আকর্ষণীয় নগদ পুরস্কার এবং সম্মাননা স্মারক রয়েছে।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মাননা:
বিজয় দিবস হাফ ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার। বিভিন্ন বয়স ও লিঙ্গভিত্তিক ক্যাটাগরিতে প্রথম তিনজনকে নগদ পুরস্কার এবং অন্যান্য প্রতিযোগীদের সম্মাননা স্মারক দেওয়া হবে। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী পুরুষ ও নারীদের মধ্যে প্রথম তিনজন যথাক্রমে ৫০, ৩০ এবং ২০ হাজার টাকা পাবেন। এছাড়া, ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী প্রতিযোগীদের জন্যও বিশেষ পুরস্কার রয়েছে।
কেন এই ম্যারাথন:
শহীদদের স্মরণ: মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো।
স্বাস্থ্য সচেতনতা: মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
পর্যটন প্রচার: কক্সবাজারের সৌন্দর্য বিশ্বব্যাপী তুলে ধরা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, “আমরা চাই, এই ম্যারাথনের মাধ্যমে সকলে মিলে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করি এবং কক্সবাজারের সৌন্দর্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরি।”
পূর্বকোণ/এমটি/পারভেজ