চট্টগ্রাম নগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলের টোল আদায়ের সময় পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে টোল আদায়ের কথা থাকলে তা আরো দু’সপ্তাহের মত পিছিয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম।
তিনি জানিয়েছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায় কার্যক্রম শুরু করার কথা থাকলেও তা পেছানো হয়েছে। টোল আদায়ের পরবর্তী সময় জানিয়ে দেয়া হবে। নতুন বছরের শুরুর দিকে টোল আদায় শুরু হতে পারে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে গাড়ি থেকে টোল আদায় করা হবে। বর্তমানে এক্সপ্রেসওয়েতে পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চলাচল করছে। এ জন্য কোনো টোল দিতে হচ্ছে না। শুরুতে শুধু এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে চারটি বুথ টোল দেওয়া যাবে। আপাতত সিডিএ টোল আদায় করবে। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে তাদের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
গত বছরের ১৪ নভেম্বর নগরের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত নির্মিত ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে’এর উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে উদ্বোধন হলেও তখন গাড়ি চলাচল শুরু হয়নি। গত আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচলের সুযোগ রেখে টোলের হার চূড়ান্ত করা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল এবং ট্রেইলর ওঠানামার সুযোগ রাখা হয়নি।
চূড়ান্ত হওয়া টোলের হার অনুযায়ী, সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে টোল দিতে হবে ৩০ টাকা। কারজাতীয় গাড়িকে দিতে হবে ৮০ টাকা। জিপ ও মাইক্রোবাসের জন্য টোলের হার ১০০ টাকা। পিকআপ থেকে নেওয়া হবে ১৫০ টাকা। মিনিবাস ও ট্রাক (চার চাকা) থেকে ২০০ টাকা করে, বাস থেকে ২৮০ টাকা নেওয়া হবে। ট্রাকের (৬ চাকা) জন্য ৩০০ টাকা এবং কাভার্ড ভ্যানের জন্য ৪৫০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/ইব