চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জন্য ৩ হাজার নরমাল স্যালাইন বরাদ্দ দিয়েছে রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। গতকাল রবিবার ঢাকা থেকে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এসব স্যালাইন সরবরাহ করা হয়। যা আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন। তিনি বলেন, চাহিদার প্রেক্ষিতে ইডিসিএল কর্তৃপক্ষ রবিবার ৩ হাজার নরমাল স্যালাইন সরবরাহ করেছেন। যা সোমবার (আজ) হাসপাতালে এসে পৌঁছাবে। এছাড়াও পূর্বের ১৭’শ স্যালাইন মজুদ ছিল। সবমিলিয়ে স্যালাইনের কোন সংকট নেই।
এর আগে গত ১৬ নভেম্বর চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্যালাইনের বরাদ্দের জন্য রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইডিসিএল-এ চাহিদাপত্র প্রেরণ করেন। চাহিদার প্রেক্ষিতে এ ৩ হাজার পিস নরমাল স্যালাইন সরবরাহ করা হয়।
প্রসঙ্গত : গতকাল রবিবার দৈনিক পূর্বকোণে ‘চমেক হাসপাতালে নরমাল স্যালাইনের সংকট, একদিনের স্যালাইনও নেই’ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবদনে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য দিয়ে উল্লেখ করা হয়, টার্সিয়ারি পর্যায়ের ২২শ’ শয্যার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালটিতে প্রতিদিন রোগীদের জন্য নরমাল স্যালাইনের চাহিদা থাকে গড়ে ৮শ’ থেকে ১ হাজার পিস।
কিন্তু গত শনিবার হাসপাতালটিতে মজুদ ছিল ৩শ’ স্যালাইন। অর্থাৎ প্রতিদিন রোগীদের যে পরিমাণ স্যালাইনের প্রয়োজন, তার এক তৃতীয়াংশ মজুদ আছে। যদিও গতকাল রবিবার হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন জানান, ৩শ’ স্যালাইন মজুদের তথ্যটি সঠিক নয়, বরং স্টোরে ১৭শ’ স্যালাইন মজুদ ছিল।
গতকালও কয়েকটি ওয়ার্ডে খবর নিয়ে জানা গেছে, সাধারণ রোগীদের স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র ডেঙ্গু রোগীদের সরবরাহ ঠিক রাখা হয়েছে। এছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জরুরি ও অস্ত্রোপচার রোগীদের সরবরাহ ঠিক রাখা হয়েছে।
পূর্বকোণ/ইব